করোনা পরীক্ষায় বড় জট, এক সপ্তাহেও মিলছে না রিপোর্ট

করোনার স্যাম্পল জট দেখা দিয়েছে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে। প্রতিদিন কক্সবাজার জেলা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে পাঠানো প্রায় ৪০০ মত নমুনা জমা হয় এই ল্যাবে। ফলে নমুনা জটে এক সপ্তাহেও রিপোর্ট মিলছে না। এতে করোনা পরীক্ষা করতে আসা লোকজন ও তাদের স্বজনদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে কক্সবাজার জেলা, রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প, বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি, আলীকদম, লামা উপজেলা, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলা থেকে গড়ে ৪ শতাধিক স্যাম্পল জমা হচ্ছে। কিন্তু কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে আপাতত ৩০০ উপরে স্যাম্পল টেস্টের সক্ষমতা নেই। শত শত কালেকশনকৃত স্যাম্পল জমা থেকে যাচ্ছে। এছাড়া মাইক্রোবায়োলজিষ্ট, প্রশিক্ষিত ল্যাব টেকনিশিয়ান, ল্যাব সহকারীসহ পর্যাপ্ত জনবল সংকটও রয়েছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, আগামী সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ল্যাবের শূন্য পদগুলো পূরণ হয়ে যেতে পারে। তখন ল্যাবে স্যাম্পল টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়বে।

এদিকে, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা মঙ্গলবার (২৬ মে) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে তথ্য নিয়ে বলেছেন, হাজারের অধিক কালেকশন করা স্যাম্পল ল্যাবে টেস্টের অভাবে পড়ে আছে। স্যাম্পলের মানও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাস জীবাণু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতেও দেরি হচ্ছে। ফলে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে যাচ্ছে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা ক্ষোভের সাথে বলেছেন, গত ১৮ মে ৮ জন স্টাফের স্যাম্পল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে টেস্টের জন্য জমা দিয়েছেন। কিন্তু ২৬ মে পর্যন্ত তারা টেস্টের রিপোর্ট পাননি।

তিনি বলেন, খোদ সিভিল সার্জন অফিসের স্টাফদের স্যাম্পল টেস্টের এ ধীরগতি, সাধারণ মানুষ তো আরও বেশি দুর্ভোগ পোহাবে। টেস্টের রিপোর্ট পেতে পেতে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা মারা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেছেন, ঈদুল ফিতরের কারণেও একটু স্যাম্পল জট হয়েছে। তাছাড়া বান্দরবান জেলা ও চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলাকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে করোনার স্যাম্পল টেস্টের জন্য সংযুক্ত করে দেওয়ায় জট বেড়েছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এখন ৪টি ল্যাব হয়েছে। সেখানে আরও ল্যাব স্থাপন হওয়ার পথে। তাই বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলাকে স্যাম্পল টেস্টের জন্য আগের মতো চট্টগ্রামের সাথে যুক্ত করলে স্যাম্পল জট কিছুটা কমবে বলে তিনি মনে করেন।

এসএ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!