করোনা ঠেকাতে ১৪ শয্যার ‘বন্দিশালা’ চট্টগ্রামের ৩ হাসপাতালে

করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সর্তকতার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ তিনটি হাসপাতালে খোলা হয়েছে আইসোলেশন (অন্তরীণ) ইউনিট।

জানা গেছে, চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্ক অবস্থানে চট্টগ্রাম। এখনও পর্যন্ত কোনো রোগী চিহ্নিত না হলেও এরই মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। সমুদ্র বন্দরে বহির্নোঙ্গরে জাহাজ নোঙ্গর করার আগেই ঘোষণা দিতে হবে করোনা ভাইরাসমুক্ত। চট্টগ্রামে চলমান প্রকল্প গুলোতে চীনের নাগরিকরা যেন বাইরে যেতে না সেই জন্য বিশেষ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি সি অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য পেতে বিমানবন্দরে তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫টি, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৫টি এবং চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৪টি বেডের ব্যবস্থা রেখে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে।

এদিকে চীনে অধ্যয়নরত দুই বাংলাদেশি জ্বর অনুভব করলে তাদের ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল বিআইটিআইডিতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদেরও রোগ এখনো সনাক্ত হয়নি।

এ ব্যাপারে বিআইটিআইডি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. এমএ হাসান চৌধুরী বলেন, চীনে অধ্যয়নরত দুই শিক্ষার্থী বাংলাদেশে ফিরে জ্বর অনুভব করায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে রোগীদের এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রক্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা ফ্লাইটের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা বলেছি। পূর্ব সর্তকতামুলক প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের। এরমেধ্য হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটসহ চট্টগ্রামে প্রবেশ পথ বিশেষ করে বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দরে মেডিক্যাল ডেস্ক বসানো হয়েছে। বন্দর হাসপাতাল থেকে একটি সি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাছাড়া বিমানবন্দরে আলাদা করে তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। ডাক্তারের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!