করোনা ঠেকাতে চট্টগ্রামের সাংসদরা কে কী করছেন

করোনা আতঙ্কের সময়ে চট্টগ্রামের সাংসদদের পাশে না পাওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও সাংসদদের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনায় মুখর অনেকে। তবে সাংসদরা বলছেন তারা পাশেই আছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের কার্যক্রমগুলো তদারকি করছেন তারা। চেষ্টা করছেন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতেও।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘জেলা প্রশাসন নির্ধারিত উদ্যোগগুলোতে ভূমিকা রাখছি। সাংসদের তো স্পেশাল এক্সিকিউটিভ পাওয়ার নাই। আর আমাদের যেহেতু সিটি কর্পোরেশন এলাকা— সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত কাজ করা হচ্ছে, তারপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত কাজ করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি ডিসি সাহেবের সাথে কনস্ট্যান্ট যোগাযোগে আছি, যে আমাদের বিআইটিআইডি (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ) যেটা ল্যাবরেটরি সেটা যেন দ্রুত টেস্টিং হিসাবে প্রস্তত করে দিতে পারে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথেও যোগাযোগ করছি যেন বিআইটিআইডি ল্যাবরেটরি দ্রুত প্রস্তুত করে দেন। ওইটা এখন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।’

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘এমনিতে আমরা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দিয়েছি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে যেন ডিস্ট্রিবিউট করে, ওরা এটা করছে। এমনিতে এগুলো বেসিক স্টেপ। কিন্ত মেজর স্টেপ হচ্ছে ল্যাবটা যত দ্রুত সম্ভব চালু করে দেওয়া। আর আমি ওইটা নিয়েই ব্যস্ত। এছাড়া টেস্টিং কিট নিয়েও এখন আমি ব্যস্ত আছি।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব, চট্টগ্রামের ডিসির সাথে কথা বলছি। স্বাস্থ্য এডিজির সাথে কথা বলছি। উনাদের দুজন প্রফেসর ঢাকা থেকে যাওয়ার কথা ছিল। নভোর ফ্লাইট ক্যান্সেল হবার কারণে তারা যেতে পারেন নাই। ওইটা আমরা চাচ্ছি যেকোন উপায়ে আজকে কালকের মধ্যে শুরু করতে। আমাকে যেটা জানানো হয়েছে আর কি, এখন যত প্রেসার দেওয়া যায় আর কি।’

বন্দর আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফের পক্ষ থেকে তার নির্বাচনী এলাকায় জনগণের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী ইকবাল। এর বাইরে তিনিও প্রশাসনের পদক্ষেপগুলো মনিটরিং করছেন বলে জানান।

চান্দগাঁও আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা প্রবাসীদের খোঁজখবর নিচ্ছি। কোথায় কজন বিদেশ ফেরত আছেন। তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছি। সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি। পাশাপাশি প্রশাসনের পদক্ষেপগুলোতে ভূমিকা রাখার কথা জানান এই সাংসদ।

এআরটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!