করোনা ঠেকাতে একসঙ্গে বসলেন চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতারা

ছিলেন না শুধু বিদায়ী মেয়র আ জ ম নাছির

চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময় করেছেন চট্টগ্রামের মন্ত্রী, সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। চট্টগ্রামে শীর্ষস্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এই সভায় উপস্থিত থাকলেও এতে ছিলেন না চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মিরসরাই আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আহবানে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এই মতবিনিময় সভায় মিলিত হন চট্টগ্রামের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

মতবিনিময় সভায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো পর্যালোচনাসহ এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রশাসনিক, রাজনৈতিক সব স্তরের মানুষজনকে নিয়ে সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে জোর দেন বক্তারা।

সভায় নিজের সংসদীয় আসনের উদাহরণ টেনে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমার এলাকায় উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সমন্বয় করে কাজ করছে। সেখানে সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিকভাবে নেওয়া কার্যক্রমগুলোকেও সমন্বিতভাবে করা হচ্ছে। ফলে এখন পর্যন্ত ৫ দফায় মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছাতে পেরেছি আমরা। আজ সেখানে ষষ্ঠ দফা সহায়তা পৌঁছানোর কাজ চলছে।’

দুর্যোগে পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাঁদা ছোড়াছুড়ি বাদ দিয়ে মূল কাজের দিকে নজর দেওয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজ অনেকে চট্টগ্রামে বটবৃক্ষ খুঁজছেন। আমার পাশে দুই বটবৃক্ষের শাখা বসে আছে (ভূমিমন্ত্রী জাবেদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলকে দেখিয়ে)। চট্টগ্রামে বটবৃক্ষের ছায়া সবসময় ছিল, এখনো আছে। এটার অভাব হবে না। কে কোথায় আছে তার চেয়ে কী কাজ হচ্ছে সেটাই জরুরি। ধরুন আমি এখানে বসে আছি। কিন্তু আমার এলাকায় ত্রাণ বিতরণ হয়ে যাচ্ছে। কাজেই সমালোচনার সময় এটা নয়। সবাইকে মিলেমিশে কাজ করে যেতে হবে।’

মূলত করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করা কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাতে এবং জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সমন্বয়ের ওপর জোর দিতেই এই মতবিনিময় আয়োজন করা হয়েছে বলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ডাকা এই সভায় অংশ নেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ, বন্দর আসনের সাংসদ আব্দুল লতিফ, রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী, সাতকানিয়ার সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম চৌধুরী দোভাষ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন ও চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী প্রমুখ।

তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সভায় যোগ দেননি তিনি। এই বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মেয়রকে জানিয়েছিলাম আমি। উনি আসবেন বলেছিলেন। কিন্তু আসেননি। হয়তো অন্য কোন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আমরা মূলত সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করার বিষয়েই জোর দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্ড পর্যায়ে যে ত্রাণ কমিটি করার নির্দেশনা দিয়েছেন সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি।’

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!