করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির অনুমোদন পেল যুক্তরাষ্ট্রে

জরুরি প্রয়োজনে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর— তাদের জন্য ‘রেমডেসিভির’ ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। দেশটিতে এর আগে ওষুধটি পরীক্ষামূলক ব্যবহারে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১ মে) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওষুধ তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেন ও’ডেকে সঙ্গে নিয়ে এই ঘোষণা দেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে এবং মৃত্যুর দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র সবার শীর্ষে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে এখন পর্যন্ত আমেরিকায় প্রায় ১১ লাখ আক্রান্ত আর মৃত্যু ৬৪ হাজারের বেশি।

এর আগে মার্কিন বিজ্ঞানীরা ‘রেমডেসিভির’–এর কার্যকারিতার বিষয়ে হোয়াইট হাউসকে জানিয়েছিল। এখন পর্যন্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও যেসব রোগীর মৃত্যু এড়ানোর আর কোনও উপায় নেই তাদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ব্যবহার করা হচ্ছিল। এফডিএ-এর অনুমোদনের পর গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হলো। এখন থেকে ডাক্তাররা হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীদের জন্য প্রেসক্রিপশনে রেমডেসিভিরের নাম লিখতে পারবেন।

‘রেমডেসিভির’ অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে এই ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে কথা বলেছেন।

করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত কোনও অনুমোদিত ওষুধ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কার্যকর ওষুধ নিয়ে গবেষণা করছে। এরই একটি হলো রেমডেসিভির। গিলিড সায়েন্সেস-এর তৈরি এ ওষুধটি অতীতে ইবোলার বিরুদ্ধে পরীক্ষা করা হলেও তেমন সফলতা মেলেনি। তবে বিভিন্ন সময়ে পশুর শরীরে চালানো বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, সার্স ও মার্স-এর মতো করোনা প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় এ ওষুধ কার্যকর হতে পারে। তবে সদ্যপ্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক খসড়া প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চীনে চালানো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রেমডেসিভিরের কার্যকরিতা প্রমাণিত হয়নি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!