৪৮ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৯ মৃত্যু করোনায়, বেশিরভাগই এসেছেন শেষ সময়ে

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জন রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন ৪ জন। দুই হাসপাতালে গত দুই দিনে মারা যাওয়া ১৯ জনের মধ্যে ৫ জন আইসিইউ ওয়ার্ডে ও বাকি ১৪ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে হাসপাতালগুলোর নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গত কয়েকদিনে চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি ঘটছে। সবদিক থেকে পর্যাপ্ত আইসিইউ না থাকাকে এই সময়ের সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে দাবি করা হলেও করোনা চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন এখন পর্যন্ত প্রস্তুতির চেয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবই করোনা বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজ্জাদ হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় আমাদের মেডিকেলে মোট ১৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। তাদের ৩ জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকি ১২ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যাওয়া ১২ জনের কাউকে আইসিইউতে নেয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের আইসিইউ খালি আছে। এদের বেশিরভাগ রোগী এসেছেন দেরী করে। আসলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সেভাবে গড়ে উঠেনি।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডির) করোনার নমুনা পরীক্ষাগারের ইনচার্জ ড. শাকিল আহমেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, এই মুহুর্তে আসলে করোনার সংক্রমণ বন্ধ করাটাই সবচেয়ে জরুরি। আর এর জন্য অতি জরুরি হচ্ছে সচেতনতা।

তিনি বলেন, মানুষ সাধারণ তিনটি নিয়ম মেনে চললেও সংক্রমণ দ্রুত রোধ করা সম্ভব। যেমন বাইরে গেলে মাস্ক পরে যাওয়া, বাইরে গেলে লোকজনের সাথে নূন্যতম ৬ ফুট দূরত্ব রক্ষা করে কাজ সারা এবং বাইরে থেকে এসে ভাল করে সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা৷ প্রত্যেক মানুষ একটু সচেতনভাবে এসব নিয়ম কানুন মেনে চললে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!