চট্টগ্রামে পর পর দুদিন করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমার পর গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও বেড়েছে এ দুটি। আগেরদিন চট্টগ্রামে পাঁচ জনের মৃত্যু হলেও এক দিনের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। একই সাথে শনাক্ত বেড়ে হয়েছে ৩৪৭।
করোনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে নগরের সাত ও উপজেলার একজন রয়েছে। আর আক্রান্তদের মধ্যে নগরের বাসিন্দা ২৬৩ আর উপজেলার বাসিন্দা ৮৪ জন।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
এদিন চট্টগ্রামের আটটি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৩২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় ৬১ জন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৩ জনের করোনা পজিটিভ আসে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৭১ নমুনা পরীক্ষায় ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ল্যাবে ১৬৬ নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জন এবং শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ২৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৬২ জনের নমুনায় ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৫০ টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৩১ জনের।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে চট্টগ্রামের একটি মাত্র নমুনা পরীক্ষা করা হলেও তা নেগেটিভ আসে।
উপজেলায় শনাক্ত ৮৪ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ৪ জন, সাতকানিয়ায় ৪ জন, বাঁশখালীতে ২ জন, চন্দনাইশে ২ জন, পটিয়ায় ৯ জন, বোয়ালখালীতে ৬ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৭ জন, রাউজানে ১২ জন, ফটিকছড়িতে ১০ জন, হাটহাজারীতে ২১ জন, সীতাকুণ্ডে ৩ জন, মিরসরাইয়ে ৩ জন এবং সন্দ্বীপের ১ জন।
এমএহক