করোনা আতঙ্কে পটিয়ায় পুনর্বিন্যাস মুজিব শতবর্ষের আয়োজন

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সারাদেশে শিথিল করা হয়েছে মুজিব শতবর্ষের বিভিন্ন কর্মসূচি। সে পথ ধরেই মুজিব শতবর্ষে কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করেছে পটিয়া মুজিব শতবর্ষ উদযাপন পরিষদ।

রোববার (১৫ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পটিয়া মুজিব শতবর্ষ উদযাপন পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে পটিয়া আসনের সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে পুনর্বিন্যস্ত কর্মসূচি তুলে ধরেন।

এসময় তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) পটিয়া স্কুল মাঠে ১০ হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতিসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের সিদ্ধান্ত থাকলেও এখন তা শিথিল করা হয়েছে। তবে আগামীতে পটিয়ার প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে মুজিব বর্ষ আয়োজনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ‘আগে দেশ বড়, জনগণ বড়।’ জনগণকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা সারা বছর মুজিব বর্ষ পালন করতে পারবো। আগামীতে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে পটিয়ায় মুজিব বর্ষ পালন করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সীমিত আকারে নেওয়া কর্মসূচির আওতায় রয়েছে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) পটিয়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, আতশ বাজি উৎক্ষেপনের পর ১’শ জন প্রতিবন্ধীকে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হবে। স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সীমিত সংখ্যক শিশু কিশোরদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। পটিয়ার ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭৫টি স্কুল কলেজে ওইদিন মুজিব বর্ষ পালন করা হবে। পটিয়ার ভেল্লাপাড়া থেকে ২২ কিমি পর্যন্ত সড়ক এলাকায় মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহের হোসেন বক্তব্য রাখেন।

এসময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদসহ দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এএ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!