করোনায় ৩৭০০ ছুঁই ছুঁই মৃত্যু, সারাদেশে নতুন শনাক্ত ২৫৯৫

মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্তের ১৬৩তম দিনে এসেও থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ার কারণে শনাক্তের পরিমাণ কমলেও থামছে না প্রাণহানি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৭ জন নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৬৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৫৯৫ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৪ জনে।

সোমবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার ৫২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন করে আরও শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৯৫ জন।

দেশে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৪১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৯১ জনে।ফলে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৩ জন। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ হাজার ৬৯৪ জনে।রোগী শনাক্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরই এখন বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ফ্রান্স ও কানাডাকে পেছনে ফেলে ১৫তম। দেশে ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ১৮৯ জনের করোনা পরীক্ষা করে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৪ জন। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

অন্যদিকে, ১৭ আগস্ট সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যমতে, চট্টগ্রাম জেলায় এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৮৪৫ জন। এর মধ্যে নগরে ১১ হাজার ১৮০ জন এবং উপজেলায় চার হাজার ৬৬৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৫৭৯ জন এবং করোনার কাছে হার মেনেছেন ২৫২ জন। যাদের মধ্যে নগরের ১৭৪ ও উপজেলার রয়েছে ৭৮ জন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!