বাংলাদেশে তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই চট্টগ্রাম নগরীরতে লাফ দিয়ে বেড়ে গেছে মাস্কের দাম। ৭৫ টাকা মূল্যের এক প্যাকেট মাস্ক এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকায়। অক্সিজেন মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এছাড়া হেক্সিসল ১২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০০টাকা।
দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন- যথাযথ যোগানের অভাবেই ঘটেছে এ বিপত্তি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারের মানসম্মত সব মাস্ক চীন থেকে আমদানি করা হয়। বর্তমানে চীন মাস্ক রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। বাজারে সরবরাহ কম, তাই দামও বাড়তি।আর এ কারণেই বেড়েছে দাম।
ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়, যা ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় ১০০ দেশ ও অঞ্চলে। বিশ্বজুড়ে ১লাখ ৫ হাজারের বেশি মানুষ এ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৫৯৫ জনের। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর বেশিরভাগ লোকই রাস্তায় বের হলে মাস্ক ব্যবহার করেন। বিশেষ করে স্যার্জিক্যাল মাস্কের ব্যবহারই বেশি। যোগান নেই— এই অজুহাতে ব্যবসায়ীরা বাড়তি লাভের আশায় মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
জানা যায়, করোনা ভাইরাসের কারণে নগরীর বিভিন্ন দোকান এবং মার্কেট দুই মাস আগেও মাস্কের দাম বেড়ে গিয়েছিলো। ৭৫ টাকার মাস্ক তখন বেড়ে হয়েছিলে সর্বোচ্চ ১১০০ টাকা। কিন্তু রবিবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৩জন রোগী শনাক্ত হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই এই সার্জিক্যাল মাস্কের দাম বেড়ে হয়েছে সর্বোচ্চ ১৪৫০ টাকা। অন্যদিকে অক্সিজেন মাস্কের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০টাকা। এছাড়াও,করোনা ভাইরাসের কারণে মাস্কের চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে দিয়েছে যাতে তারা অতিরিক্ত লাভবান হতে পারে।
হাবিব নামের এক তরুণ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘হেক্সিসল ১২০টাকারটি ২০০ টাকা। সার্জিকাল মাস্ক ১৪৫০ টাকা এবং রিইউজেবল মাস্ক ৮০ টাকার জায়গায় ১৩০ টাকা।’
রিমিশা নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দেশে তিন জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই মাস্কের দাম বেড়ে গেলো আবারও। ফুটপাত থেকে ৫টাকার সার্জিক্যাল মাস্ক কিনতে হচ্ছে ২৫ টাকায়। প্রথমত ৩০টাকা ছাড়া দিচ্ছেই না। বলে কয়ে ২৫টাকায় নিলাম। কিছু একটা হলেই দোকানদার, ব্যবসায়ীরা এমন অবস্থা শুরু করে।
এনজে/এসএস