করোনায় মৃত্যুর মিছিলে চট্টগ্রামের আরও ১১ জন

২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৯ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৫৩১

করোনায় লম্বা থেকে লম্বা হচ্ছে চট্টগ্রামে মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই মৃত্যুতে ঢাকার পর পর থাকে চট্টগ্রামের অবস্থান, বেশ কয়েকবার অবশ্য দেশে একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুু হয়েছিল চট্টগ্রামেই। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কোপে চট্টগ্রাম বিভাগে আরও ১১ জনের মৃত্যু হলো। পাশাপাশি ঢাকা বিভাগে ১৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ১২ জন মিলিয়ে একদিনে আরও ৩৯ মৃত্যু দেখলো দেশ। এই নিয়ে সারাদেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো এক হাজার ৪৬৪ জনে। একই দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩ হাজার ৫৩১ জন। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের পুরুষ ৩৫ জন এবং নারী চারজন। এদের মধ্যে ০ থে‌কে ১০ বছ‌রের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব ছয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১২ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব চারজন, সত্তরোর্ধ্ব দুজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন। ৩৩ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং ছয়জন বাসায়। এদের ১৬ জন ঢাকা বিভাগে, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগে, চারজন খুলনা বিভাগে, দুজন রাজশাহী বিভাগে, চারজন ব‌রিশাল বিভা‌গে এবং একজন করে রংপুর ও সিলেট বিভাগে মারা গেছেন।

রোববার (২১ জুন) দুপুর আড়াইটায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

দেশজুড়ে ৬০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বুলেটিনে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ হাজার ৭১০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৫৮৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ছয় লাখ ১২ হাজার ১৬৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৫৩১ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৯ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন এক হাজার ৪৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৪ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৪৫ হাজার ৭৭ জন।

আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটার এর তথ্য অনুযায়ী, এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১১। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ লাখ ৩১ হাজার ৮১২ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪৪ জন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!