করোনায় মারা যাওয়া দুদক পরিচালক চট্টগ্রামের ছেলে

রাজধানীর কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক জালাল সাইফুর রহমান চট্টগ্রামের সন্তান। নগরীর পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা এলাকায় তার বাড়ি।

এর আগে সোমবার ( ৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় মারা যান জালাল সাইফুর রহমান। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। জালালের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ও ছেলেকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জালালের চাচা আতিকুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমার ভাতিজা আজ (সোমবার) সকালে ঢাকায় কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে। তার স্ত্রী ও সন্তানকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। জালাল করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সর্বশেষ তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে সে মারা যায়।’ তার মরদেহ সরকারী ব্যবস্থাপনায় ঢাকাতেই দাফন হবে বলে জানা গেছে।

তিনি আরও জানান, ‘জালাল সাইফুর রহমান পুলিশের সাবেক সিনিয়র এএসপি নুরুর রহমানের সন্তান। চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা এলাকায় তাদের বাড়ি। জালালের একমাত্র সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
বিভাগে অধ্যয়নরত।’

জালালের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২২ মার্চ প্রথম দফায় জ্বর আসে জালাল সাইফুরের। তখন তাপমাত্রা কম ছিল। ওই সময় জ্বর সেরে যায়। দ্বিতীয় দফায় ২৪ ও ২৫ তারিখ তিনি জ্বরাক্রান্ত হন। তখনও তার তাপমাত্রা কম ছিল। তবে জ্বরের সঙ্গে হালকা কাশিও ছিল তার। দু’দিন পর তিনি আবারও সুস্থ হয়েছে যান। তবে জ্বর নিয়ে তিনি অফিস করেন। ৩০ মার্চ তার পুনরায় জ্বর আসে। এ সময় তার তাপমাত্রা ছিল বেশি। তৃতীয় দফায় তাপমাত্রা বেশীসহ জ্বর আসলে জালাল সেদিনই আইইডিসিআরকে অবহিত করেন। আইইডিসিআর তার নমুনা সংগ্রহ করে। ওইদিন রাতেই তার রিপোর্ট কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। এরপর জালাল সাইফুরকে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।

এদিকে জালাল সাইফুরের সংস্পর্শে আসা দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!