করোনায় পরাস্ত হলেন যমুনার চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল

করোনাভাইরাসের কাছে হেরে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের মৃত্যুর মিছিল লম্বা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার করোনার থাবায় পরাস্ত হয়ে না ফেরার দেশে দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল। (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।

সোমবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এই বরেণ্য শিল্পপতি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

এর আগে, গত ১৪ জুন নুরুল ইসলামের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। ওই দিনই রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসকরা জানান, করোনাভাইরাসের আক্রমণে তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেখানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সংকটাপন্ন নুরুল ইসলামকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। চীনের চার জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসাপাতালের দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে পরামর্শ দিয়েছেন তার চিকিৎসায়।

নুরুল ইসলাম বাবুলের স্ত্রী সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম। তিনি সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। ছেলে শামীম ইসলাম যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মেয়ে রোজালিন ইসলাম, মনিকা ইসলাম ও সনিয়া ইসলাম যমুনা গ্রুপের পরিচালক।

নুরুল ইসলাম বাবুল দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা। যমুনা গ্রুপের অধীনে তিনি গড়ে তুলেছিলেন অন্তত ৪১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। কর্মসংস্থান তৈরি করেন হাজার হাজার মানুষের।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!