করোনায় নিভে গেলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের সাবেক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হায়দার লিটনের জীবন প্রদীপ। তিনি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
বৃহস্পতিবার (১৮) ভোরে রাজধানী ঢাকার তারই কর্মস্থল এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি অ্যাম্বুলেন্সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের তার ব্যাচমেট ও চট্টগ্রাম পার্কভিউ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম।
ডা. রফিকুল হায়দার লিটন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের (সিওমেক) ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ নিয়ে দেশে ৩৮ জন চিকিৎসক করোনা মারা গেলেন। পাঁচজন মারা গেছেন করোনার উপসর্গে।
ডা. রফিকুল হায়দার লিটন ১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিলের প্রলঙ্ককারী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ সন্দ্বীপের মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রথম ত্রাণ ও চিকিৎসক দলের সদস্য ছিলেন।
তাঁর সহপাঠীরা জানান, ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ ছিল পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সন্দ্বীপে কোন সাহায্যকারী দলকে সরকার ঝুঁকিবিবেচনায় যেতে দেয়নি। ডা. লিটন তখন সিওমেকে এমবিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সিলেট থেকে আসা সন্ধানীর ত্রাণ ও চিকিৎসক দল নিয়ে সন্দ্বীপের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সন্ধানীর ওই দল সন্দ্বীপে ১১দিন অবস্থান করে মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন। সেই ঘূর্ণিঝড়ে ডা. লিটনের ২৯ জন আত্মীয়-স্বজন হারিয়েছিলেন বলেও জানা যায়।
ডা. লিটন চবি অফিসার সমিতির বর্তমান সভাপতি রশিদুল হায়দার জাবেদের বড় ভাই। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে রেখে গেছেন।
এফএম/এমএহক