করোনায় চট্টগ্রাম বিভাগে আরও ৭ মৃত্যু, ঢাকায় ১৮

২৪ ঘণ্টায় ২৮ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৭৬৪ জন

গত ২৫ মে করোনায় সারাদেশে সর্বোচ্চ ২৮ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতোদিন পর্যন্ত সেটিই ছিল একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। পাঁচদিনের মাথায় সেই রেকর্ড আবারও স্পর্শ করলো প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। শনিবারও (৩০ মে) সেই সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে এ ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ৬১০ জনে। নতুনভাবে মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন সর্বোচ্চ ১৮ জন, চট্টগ্রামের বিভাগের সাতজন, রংপুরে দুজন এবং সিলেটে একজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৬ জন, আর বাড়িতে মারা গেছেন দুজন।

শনিবার (৩০ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান। দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার ১২ সপ্তাহ পার হলো বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনলাইন বুলেটিনে তিনি আরও জানান, গতকাল (২৯ মে) শুক্রবার থাকায় কমেছে নমুনা পরীক্ষা, সেই সঙ্গে কমেছে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যাও। তাতে করে গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১৭৬৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৬০৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ২৮ জনের মধ্যে ২৫ পুরুষ এবং তিনজন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সসীমার মধ্যে চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয়জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের তিনজন এবং আশি ঊর্ধ্ব দুজন রয়েছেন।

দেশে পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে ৫০টি ল্যাবে পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১ হাজার ৪৪৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয় ৯ হাজার ৯৮৭টি। এ নিয়ে এযাবত মোট নমুনা পরীক্ষা দাঁড়াল ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৪টিতে। ঢাকায় নতুন একটি বেসরকারি ল্যাব যুক্ত হয়েছে। ল্যাবটি হলো ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।

তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৩৬০ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ হাজার ৩৭৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ০২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে শুক্রবার (২৯ মে) রাত পর্যন্ত ২৫৮৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০৫ জন এবং মারা গেছেন ৭২ জন। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও অধিকাংশ মৃত্যু হচ্ছে হাসপাতালেই।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!