করোনায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল। আর এই মিছিলে প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চট্টগ্রাম বিভাগের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের আট জনই চট্টগ্রাম বিভাগের। এ সংখ্যা ঢাকা বিভাগের মৃত্যুর দ্বিগুণ। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৫২ জনের। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৭৩ জন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এতে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২ হাজার ৭৮ জনে।
তবে চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যুর কথা জানালেও কোথায় কোথায় তাদের মৃত্যু হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি ডা. নাসিমা। তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে ১৫ জন হাসপাতালে ও চারজন বাড়িতে মারা গেছেন। এছাড়া একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শনিবার (২৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয় হাজার ৯৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১০ হাজার ৮৩৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৩৪ হাজার ৬৭৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৮৭৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২০ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৯৬ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ৪৮৬ জনে।
নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৬ জন পুরুষ ও চারজন নারী। চারজন ঢাকা বিভাগের, আটজন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন করে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের এবং একজন করে সিলেট ও খুলনা বিভাগের। হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাসায় চারজন এবং হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন একজন। বয়সের দিক থেকে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী দুজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব তিনজন এবং সত্তরোর্ধ্ব একজন রয়েছেন।