চট্টগ্রামে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার ভয়ঙ্কররূপ ধারণের পর থেকে সবচেয়ে কম রোগী শনাক্তের দিনেই মৃত্যুতে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল। এই প্রথম মৃত্যুর সংখ্যা গেল দু’অঙ্কের ঘরে। অতীতে সব রেকর্ড তছনছ করে দিয়ে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেলেন ১১ জন। এর আগে গত ১০ এপ্রিল ৯ জনের মৃত্যু দেখলেও পনের দিনের মাথায় এবার সেটিকেও ছাড়িয়ে গেল। মৃত ১১ জনের মধ্যে নগরের ৮ জন আর উপজেলার বাসিন্দা ৩ জন। তবে আশঙ্কাজনকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও অবিশ্বাস্যভাবে কমে গেছে শনাক্তের সংখ্যা। সেটি দুইশর নিচে নেমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭১-এ।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে সর্বমোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৪৮ হাজার ৮৮৭ জন। এদের মধ্যে ৩৯ হাজার ২৪১ জন নগরের এবং নয় হাজার ৬৪৬ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন পাঁচশ ছুঁই ছুঁই ৪৯৭ জন। এদের মধ্যে ৩৭০ জনই নগরের, বাকি ১২৭ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার।
রোববার (২৫ এপ্রিল) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, চট্টগ্রামের নয়টি সরকারি-বেসরকারি করোনা ল্যাবের মধ্যে ছয়টি ল্যাব মিলে এক হাজার ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭১ জনের। এর মধ্যে নগরের ১৪১ আর উপজেলার ৩০। ১০টি ল্যাবের মধ্যে পরীক্ষা হয়নি চারটি ল্যাবে।
চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৪৩ জনের দেহে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৪৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় ৩৫ জনের দেহে।
জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৪ জন ও শেভরন ক্লিনিকের ল্যাবে ৩১২টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৩৫ জনের এবং নতুন সংযোজিত মেডিকেল সেন্টারে ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এদিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, সিভাসু ল্যাব, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব ও মা-শিশু হাসপাতাল ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হয়নি।
উপজেলায় শনাক্ত ৩০ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া যায় চন্দনাইশ ও রাউজান উপজেলায়। উপজেলা দুটিতে ৬ জন করে শনাক্ত হয়। এছাড়া সীতাকুণ্ডে ৫ জন, মীরসরাইয়ে ৪ জন, সাতকানিয়ায় ৩ জন, ফটিকছড়িতে ২ জন এবং আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী ও হাটহাজারীতে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
এমএহক