করোনার বিশেষায়িত হাসপাতাল হচ্ছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

অন্য রোগের চিকিৎসা নয়, শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড (বিশেষায়িত) করা হচ্ছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে। সরকার অনুমোদন দিলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালই হবে এই অঞ্চলের প্রথম ও একমাত্র করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী আসনের সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় ২৫০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতালের অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করি, শীঘ্রই মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনা আসবে। তা হয়ে গেলে চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় আরও বেশি সুফল পাবে আক্রান্ত রোগীরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে জেনারেল হাসপাতালে ২০ কিলোলিটার উৎপাদন সক্ষমতার অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর কার্যাদেশও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সেটি চালু হলে অক্সিজেন সংকট দূর হবে, রোগীরা স্বস্তি পাবেন।’

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসায় প্রথমে ১০০ শয্যা নিয়ে চিকিৎসাসেবা শুরু করে। চট্টগ্রামে আইসিইউ সংকট নিয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিন একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু হয়।

করোনা সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে শ্বাসকষ্টের রোগীও। প্রতিদিনই একাধিক রোগী অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। অক্সিজেন নিয়েও চট্টগ্রাম প্রতিদিন একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তখন এগিয়ে আসে দেশে শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ এস আলম। এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ প্রথমে জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মা ও শিশু হাসপাতালে হাই ফ্লো অক্সিজেন ন্যাসাল ক্যানোলা দান করেন।

এরপর ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সংযোগ স্থাপন করা হয় সাইফুল আলম মাসুদের উদ্যোগে। সরকার জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন উৎপাদনের প্ল্যান্ট স্থাপনের অনুমতি দিয়ে কার্যাদেশ দেয় ২২ জুন। এই প্ল্যান্ট স্থাপন হলে এস আলমের সেন্ট্রাল লাইনটির সুবিধা পাবেন রোগীরা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!