করোনার বাধা পেরিয়ে এক ‘নতুন’ ঈদ

দুই বছর পর করোনার বাধা পেরিয়ে এ যেন এক ‘নতুন’ ঈদ উল ফিতর উদযাপন। চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম ঈদ জামাত।

মঙ্গলবার (৩ মে) প্রথম ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।

এরপর সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জামাত। এতে ইমামতি করেন জমিয়াতুল ফালাহ’র পেশ ইমাম হাফেজ মৌলানা আহমদুল হক।

সকাল থেকে ঈদের জামাতে আসতে থাকেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষ করে তারা খুতবা শুনেন। এরপর সারা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

সকাল ৮টায় লালদীঘির পাড় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শাহী জামে মসজিদে, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুর বাজার জামে মসজিদ ও মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ১টি করে প্রধান ঈদ জামাত স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ এলাকার মসজিদ ও ঈদগাঁহে অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৯টায় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনের মাঠে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল হযরত মাওলানা অধ্যক্ষ ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান।

এছাড়া কমিটির আওতাভুক্ত চট্টগ্রাম নগরীর ৯৪টি আঞ্চলিক ঈদগাঁর ঈদের নামাজও অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহে ও আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মসজিদে চার স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি)।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!