করোনার প্রভাবে চীনা পণ্যের বাজার অস্থির

ভোগ্যপণ্য, মসলা, ফল, ক্রোকারিজ, মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, কসমেটিকস, কেমিক্যাল ও শিল্পের কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ চীন। চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে গত তিন সপ্তাহ ধরে চীন থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। আমদানি নির্ভর এসব পণ্যের বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ বেশিরভাগ পণ্যের দাম ইতোমধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অনিশ্চিত আমদানির কারণে এসব চীনা পণ্যগুলো মজুদ ধরে রাখার চেষ্টা করছে আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে আমদানিকৃত চীনা পণ্যের বাজার।

ভোগ্যপণ্য

চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছে কাঁচা মসলা পণ্য রসুন ও আদার। গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে রসুনের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে প্রতি কেজি এখন ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আদার দাম। করোনাভাইরাসের কারণে গত ২০ দিন ধরে আমদানি বন্ধ থাকায় আমদানি নির্ভর পণ্য দুটির বাজার অস্থির হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

খাতুনগঞ্জে আড়ত ও পাইকারি দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চীনা রসুন বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকার মধ্যে। জানুয়ারির শেষ দিকে খাতুনগঞ্জে একই রসুন বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকার মধ্যে। সেই হিসেবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি রসুনের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। জানুয়ারির শেষ দিকে পাইকারিতে প্রতিকেজি চীনা আদা বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকার মধ্যে। দুই সপ্তাহে কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বর্তমানে একই আদা ১৩০-১৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা পণ্য (পেঁয়াজ, রসুন ও আদা) ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চীনে করোনাভাইরাসের পর থেকে আমদানিকারকরা বাজারে রসুনসহ কয়েকটি ভোগ্যপণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বাজারে সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। এছাড়া দেশি রসুনের মৌসুমও শেষ। বাজারে নতুন দেশি রসুন এবং আমদানি করা চীনা রসুনের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দাম আরও বাড়বে। রসুনের পথে আছে আদা ও পেঁয়াজও।

খাতুনগঞ্জের কাঁচাপণ্য আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের রসুনের বাজার পুরোটাই চীননির্ভর। চীনা রসুনের মান ভালো হওয়ায় এটির চাহিদা বেশি। দেশে কিছু রসুন উৎপাদন হলেও চাহিদার বড় একটি অংশের যোগান দিতে হয় চীন থেকে আমদানির মাধ্যমে। করোনাভাইরাসের কারণে চীনের শিপমেন্ট বন্ধ। যেসব আমদানিকারক আগে এলসি খুলেছিল, তাদের চালানও আসছে না। নতুন করে কেউ এলসি খুলতে পারছে না। এতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে আমদানিতে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল হোসেন বলেন,‘করোনাভাইরাসের প্রভাবে চীন থেকে আমদানি করা বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। চীনে শিপমেন্ট বন্ধ আছে। যেসব ব্যবসায়ী আগে এলসি খুলেছিল তাদের চালানও আসছে না। নতুন করেও এলসি খোলা যাচ্ছে না। এতে সরবরাহ সংকটে রসুনের দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে সংকট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে দামও।’

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট কাঁচামাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন,‘করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে রসুনের সংকট তৈরি হয়েছে। যে কারণে কিছুদিনের ব্যবধানে দাম অনেক বেড়ে গেছে। আগে প্রতিদিন কয়েক ট্রাক চীনা রসুন বাজারে আসতো। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে শিপমেন্ট বন্ধ থাকায় রসুন আসছে না। বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। বাজার চীননির্ভর হওয়ায় বড় সমস্যা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যমতে, দেশে সমুদ্রপথে আমদানি হওয়া রসুন শতভাগই আসে চীন থেকে। গত অর্থবছরে চীন থেকে ৬৪ হাজার ৭৯৬ টন রসুন আমদানি হয়। রসুনের মতো আদার ৬০ শতাংশই আমদানি হয় চীন থেকে। গত সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় চীন থেকে একটি বড় অংশ আমদানি করা হয়।

তবে খাতুনগঞ্জের কয়েক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, পুরোটাই আমদানিকারকদের কারসাজি। করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে বাড়তি লাভের আশায় তারা বাজারে চীনা রসুন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। চীন থেকে জাহাজে পণ্য তুললে তা দেশে আসতে ২০-২৫ দিন সময় লাগে। এখন বাজারে যেসব রসুন রয়েছে তা আগের আমদানি করা। এসব রসুনে দাম বাড়বে কেন?

ক্রোকারিজ

আমদানি বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চীন থেকে আমদানিকৃত ক্রোকারিজের বাজারেও। এই সময়ের মধ্যে চীনের প্রায় প্রতিটি ক্রুকারিজের পণ্যে মানভেদে ১০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

চট্টগ্রামে ক্রোকারিজ পণ্যের পাইকারি বাজার রিয়াজুদ্দিন বাজারের গোলাম রসুল মার্কেট। এই বাজারে কয়েকটি পাইকারি দোকান থেকে পাওয়া তথ্যমতে, চীন থেকে আমদানিকৃত প্রতিটি ডিনার সেটে ইতেমধ্যে ২০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে গেছে। আগে যেসব ডিনার সেট ৩৩০০ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৬০০ টাকায়। ৪ হাজার টাকার সেট বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৩০০ টাকায়। ৫২০ টাকার কাপ প্লেট সেট ৬৫০ টাকা, ৬০০ টাকার সেট ৭৫০ টাকা, ৬৫০ টাকার জগ সেট ৭৫০ টাকা, ১১০০ টাকার সেট ১৩০০ টাকা, ৩ হাজার টাকার ইলেকট্রিক ওভেন ৩ হাজার ৩০০ টাকা, ৪ হাজার ৫০০ টাকার ওভেন ৪ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৬ হাজার ২০০ টাকার মাইক্রোওভেন ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আগে চীন থেকে আমদানিকৃত যেই ফ্লাক্স ৩০০ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। ৬০০ টাকার ফ্লাক্স এখন ৭২০ টাকা। ১১০০ টাকার প্রতিটি ব্লেন্ডার ১২৫০ টাকা, ১৫০০ টাকার ব্লেন্ডার ১৮০০ টাকা এবং ২৬০০ টাকার ব্লেন্ডার ২৮০০ টাকা।

চীন থেকে আমদানিকৃত ১৮০০ টাকা দামের কিচেন রেক বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়, ২২০০ টাকার রেক বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়। ১২০ টাকার চামচ সেট বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, ২০০ টাকার সেট ২৭০ টাকা, ২৫০ টাকার সেট ৩৫০ টাকা। কাঁচের যেসব বাটি সেট ১১০০ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ টাকা, ১৫০০ টাকার সেট ১৮০০ টাকা, ৩৫০ টাকার সেট ৫০০ টাকা এবং ৪৫০ টাকার সেট ৪৫০ টাকায়। স্যুপ সেট আগে ২০০০ টাকায় বিক্রি হতো এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকায়, ১১০০ টাকার সেট ১৩০০ টাকা, ৪০০ টাকার সেট ৫০০ টাকা। ৯৫০ টাকার রাইস কুকার ১০৮০ টাকা, ১২০০ টাকার পিস ১৪০০ টাকা, ১৬০০ টাকার পিস এখন ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডেকচি সেট আগে ২২০০ টাকায় বিক্রি হতো এখন তা ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩৫০০ টাকার সেট ৪০০০ টাকা, ৭৫০০ টাকার সেট ৮২০০ টাকা। যেসব ইলেকট্রিক চুলার দাম ছিল ২৫০০ টাকা তা এখন ২৭০০ টাকা, ৩০০০ টাকার চুলা ৩৩০০ টাকা এবং ৪০০০ টাকার চুলা ৪৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে আগে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হওয়া গ্যাসের চুলা বিক্রি হচ্ছে এখন ২১০০ টাকা, ৩৫০০ টাকার চুলা ৩৮০০ টাকা এবং ৫০০০ হাজার টাকার চুলা ৫৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চীন থেকে আমদানি করা যেসব ইস্ত্রি আগে ১০৫০ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকায়, ৬০০ টাকার ইস্ত্রি ৭৫০ টাকা এবং ৫০০ টাকার ইস্ত্রি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চীনের যেসব কাঁচের ডিস আগে ১৭০০ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন বিক্রি চলছে ১৯৫০ টাকায়, ১২০০ টাকার ডিস ১৫০০ টাকা এবং ১০৫০ টাকার ডিস বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা।

জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত চীনের যেসব টিফিন ক্যারিয়ার ২২০০ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকা, ১৭০০ টাকার টিফিন বক্স ১৯০০ টাকা এবং ১৬০০ টাকার বক্স বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা দামে। একইভাবে ৭০০ টাকার গ্লাস সেটের দাম এখন ১০৫০ টাকা, ৬০০ টাকার সেট ৯০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার সেট ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফল

গত কয়েক দিনে চীন থেকে আমদানিকৃত ফলের দামও অস্বাভাবিক বেড়েছে। চট্টগ্রামের পাইকারি ফলের বাজারে (বিআরটিএ ফলমন্ডি) বর্তমানে প্রতি কার্টন (২০ কেজি) চীনা আপেল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা দামে। যা জানুয়ারির শেষ দিকে কার্টন প্রতি ১৬০০ টাকার নিচে বিক্রি হয়েছে। মৌসুম শেষ হলেও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে চীন থেকে আমদানিকৃত আঙুর ও সুইট বেবি ম্যান্ডারিনের (ছোট কমলা) দামও।

মোবাইল এক্সসরিজ

বাংলাদেশসহ বিশ্বে বড় বাজার রয়েছে চীনে তৈরি মোবাইলের। বিশেষ করে দেশিয় কোম্পানিগুলো চীন থেকে পার্টস আমদানি করে দেশে মোবাইল প্রক্রিয়াজাত করে থাকে। ফলে গত তিন সপ্তাহ ধরে চীন থেকে পার্টস আমদানি বন্ধ থাকায় মোবাইলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশিয় কোম্পানিগুলো। এই বিষয়ে বাংলাদেশ মোবাইল ওনার্স এসোসিয়েশন গত সপ্তাহে বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে।

এরপর থেকে মোবাইলের বাজারে দামের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বাজারে কয়েকটি কোম্পানির মোবাইলের দাম বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে দেশিয় ব্রান্ডের ওয়ালটনের স্মার্ট মোবাইলে প্রতিটিতে মানভেদে ২৫০-৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। একই কোম্পানির কিপেড মোবাইলের দাম বেড়েছে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত। দুয়েকদিনের মধ্যে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা আসতে পারে সিম্ফনি কোম্পানির মোবাইলের ক্ষেত্রেও।

এছাড়া ইলেকট্রনিক্স ও মোবাইল পণ্যের বড় বাজার চট্টগ্রামের রেয়াজুদ্দিন বাজারে এমআই-শাওমি, হুয়াওয়ে, স্যামসাং, ভিভো, অপো মোবাইলের প্রতিটি সেটে মানভেদে ১০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। রেয়াজুদ্দিন বাজার তামাকুমন্ডি মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘মোবাইল ও মোবাইল এক্সসরিজের প্রধান রপ্তানিকারক দেশ চীন। দেশটিতে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ফলে আমদানি বন্ধ থাকা মোবাইলের বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। কবে নাগাদ পুনরায় আমদানি শুরু হবে তা স্পষ্ট না হওয়ায় আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে পণ্য মজুদের প্রবণতা বাড়ছে। কিছু কিছু পণ্যের দামও ইতোমধ্যে বেড়েছে। তবে মোবাইল যেহেতু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নয়, ব্যবহারকারীদের সচেতনতা এবং ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছায় বাজার স্থির রাখার সুযোগ রয়েছে।

রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘রেয়াজুদ্দিন বাজারের ৮০ শতাংশ পণ্য আসে চীন থেকে। করোনাভাইরাসের পর থেকে পুরো বাজারে একটা চাপা আতঙ্ক কাজ করছে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। কতদিনের মধ্যে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আমদানি স্বাভাবিক হবে। কারণ চীন থেকে আসা পণ্যের বিকল্প বাজার খোঁজতেই অনেক সময় লাগবে। তাছাড়া এমন কিছু পণ্য আছে যেগুলোর চীনের কোন বিকল্প নেই বললেই চলে। চীনের বিকল্প থাকলেও ওই বাজারে পৌঁছা এবং পণ্যের দাম ব্যয়বহুল।

উল্লেখ্য,ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে, যা পরে বিশ্বের ২৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১৭শ’ ছাড়িয়ে গেছে।

এএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!