করোনার ঝুঁকি, তবু খাগড়াছড়ি ঢোকার মুখে মানুষের হুড়োহুড়ি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রবেশ ও বের হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে খাগড়াছড়ির প্রবেশ দ্বারে। প্রশাসনের কড়া নজরদারি সত্ত্বেও নানা উপায়ে প্রবেশের চেষ্টা চলছে। এতে করোনা বিস্তারের ঝুঁকি বেড়েছে খাগড়াছড়ির এলাকাগুলোতে।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজ বাড়িতে বা এলাকায় যেতে খাগড়াছড়ি জেলার (প্রবেশ দ্বার) মানিকছড়ি উপজেলার নোয়াবাজার চেক পোস্টে প্রবেশের নাম তালিকায় দিতে অনেকটাই যুদ্ধে নেমেছে খাগড়াছড়ির সাধারণ জনগণ। প্রতিদিন খাগড়াছড়ি জেলায় চট্টগ্রাম থেকে এসে এভাবেই হাজার হাজার লোক প্রবেশ করছেন।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাব চন্দ্র বিশ্বাস গণ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জেলার যে কোন উপজেলা লোক অন্য উপজেলায় প্রবেশ করলে কারণ দর্শানো সহকারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমোদন লাগবে। ওই ঘোষণার ৩দিন অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু মানছেন না সাধারণ জনগণ। নিজ জেলায় প্রবেশ করতে নোয়াবাজার চেক পোস্টে নাম তালিতা লিপিবদ্ধ করতে হয়। হাজার হাজার লোক নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে ভিড় করে ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছেন।

দীঘিনালার হিরা চাকমা (৩২) বলেন, সকাল ৭টায় এসে নাম তালিতার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখন ১২টা পর্যন্ত আমার নাম তালিকায় দেওয়া হয়নি। হাজারো লোক আছে তাই সময় লাগছে।

এদিকে, খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগে চেকপোস্টে মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদিন পানি, ও শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করেন। সঙ্গে ছিলেন মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, মানিকছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি আমির হোসেন।

এ ভিড়ে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে কী না জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘হাজার হাজার লোক প্রবেশের অপেক্ষায়। কতজনকে ব্রেক করাবো। ব্রেক করানোর চেষ্টা করলে জঙ্গল দিয়ে হাঁটতে থাকে। আর ভোররাতে বা সন্ধ্যায় জঙ্গল দিয়ে হেঁটে যাওয়া যাত্রীদের বড়ধরনে দুর্ঘটনা। আসলে লোকজনকে নিজে সচেতন হতে হবে। এছাড়া উপায় নেই।’

উল্লেখ্য, চেক পোস্টে নাম তালিকায় কাজ করছেন মানিকছড়ি থানা পুলিশ, ভিডিপি, সেনাবাহিনী, রেডক্রিসেন্ড, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প, মানিকছড়ি হাসপাতাল স্বাস্থ্যবিভাগ ।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!