করোনার ‘ক্রসফায়ারে’ এবার চট্টগ্রামের র‌্যাব, পরাস্ত এসআই

করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান ভয়াল থাবা এবার এলিট ফোর্স খ্যাত র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ওপর। সোমবার (২৭ এপ্রিল) র‌্যাব চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের শরীরে করোনা শনাক্ত হল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর অপারেশন অফিসার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাশকুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘র‌্যাব-৭ পরিবারের এক সদস্যের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি পুলিশের উপপরিদর্শক। ৮ এপ্রিল আমার অফিসে এসে জানালেন তার শুষ্ক কাশি। ওই দিনই তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি নিয়মিত কাশির ওষুধ সেবন করেছেন। কিন্তু ১৪ দিনের মাথায় কাশি কমলেও পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় ২১ এপ্রিল তার করোনা টেস্টের জন্য নমুুনা দেওয়া হয়। ২৭ এপ্রিল জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আমাদের জানানো হয় তার করোনা পজিটিভ।’

এখন আমরা তার সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের তালিকা করছি। সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। আক্রান্ত সদস্যকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে মোট ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মিরসরাই উপজেলার একজন ও বোয়ালখালীর একজন রয়েছেন। সাতকানিয়া উপজেলার ২ জন দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায়ও পজিটিভ প্রমাণিত হন। বাকি ৭ জন সবাই নগরের বাসিন্দা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীতে আক্রান্ত ৭ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৪৪ বছর বয়সী একজন সহকারী অধ্যাপক, পতেঙ্গা র‌্যাব-৭ এর ৪৫ বছর বয়সী একজন উপপরিদর্শক, দামপাড়ায় ৩৮ বছর বয়সী এক পুলিশ সদস্য এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের একজন ৬৫ বছর বয়সী মহিলা কর্মী রয়েছেন। নগরের বাকি ৪ জন হলেন দক্ষিণ হালিশহরে ৪৮ বছর বয়সী এক পুরুষ, বিএমএ লিংক রোডে ৬৯ বছর বয়সী এক পুরুষ ও পাহাড়তলীতে ৭০ বছর বয়সী একজন পুরুষ।

এছাড়া বোয়ালখালীতে আক্রান্ত হওয়া রোগীটি ৪৮ বছর বয়সী পুরুষ, সাতকানিয়ায় শনাক্ত হওয়া দুজনের বয়স ৫২ বছর ও ১৯ বছর। দুজনই পুরুষ। অন্যদিকে মিরসরাইয়ের ব্যক্তিটি ২৩ বছর বয়সী পুরুষ।

নতুন করে আক্রান্ত হওয়া এই ১১ জন সহ চট্টগ্রামে মোট করোনা পজেটিভ হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬৪ জনে। তাদের মধ্যে ১২ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরেছেন। ৫ জন মারা গেছেন।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!