করোনার কিট সংকটে চট্টগ্রামের প্রধান ল্যাব, চলবে কেবল দুইদিন

চট্টগ্রামের প্রধান ল্যাবে আবার কমে এসেছে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট। ফৌজদারহাটের বিশেষায়িত হাসপাতাল ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) ল্যাবে আর মাত্র দুই দিন পরীক্ষা করার মত কিট রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া নমুনা পরীক্ষায় ব্যবহৃত আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদির সরবরাহও হচ্ছে খুবই কম।

ল্যাবে বর্তমানে আর কতগুলো কিট রয়েছে— এই প্রশ্নের উত্তরে বিআইটিআইডি ল্যাবের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুই দিন চলার মত কিট আছে আমাদের হাতে। আমরা এটা ঢাকায় জানিয়েছি। আমি ৫ হাজার কিট চেয়েছি। আমরা এখন যে হারে পরীক্ষা করছি, তাতে ৫ হাজার কিট পেলে আমরা ১৫ দিন পরীক্ষা করতে পারবো। আশা করি এর মধ্যে কিট চলে আসবে।’

এছাড়া নমুনা পরীক্ষার আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদির সরবরাহের পরিমাণ খুবই কম জানিয়ে ডা. শাকিল বলেন, ‘শুধু কিট দিয়ে তো পরীক্ষা হয় না। আনুষঙ্গিক আরও কিছু জিনিস লাগে। সেগুলো এতদিন আমরা নিজ থেকে দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছিলাম। একটা বিদেশি সংস্থা সহযোগিতা করেছে বলে ওদের জিনিসপত্র ইউজ করে বিষয়টা এডজাস্ট করে নিয়েছিলাম আমরা। এতদিন ধরে পরীক্ষা করছি, এর মধ্যে প্রথমবারের মত সরকারিভাবে আমাদের চপস্টিক (কটনবারের মতো কাঠির মাথায় তুলা লাগানো এক ধরনের পরীক্ষা সরঞ্জাম) দেওয়া হলো।’

‘দশ হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে পাঠিয়ে চপস্টিক পেলাম মাত্র ৪০০টা। এতদিন ধরে আমরা পরীক্ষা করছি, তার মধ্যে প্রথমবার কিটের বাইরে কিছু দেওয়া হলো সরকারিভাবে। আমি ভাবলাম হাজারপাঁচেক পাবো। আমি লিখেও দিয়েছিলাম ৫০০০ এর কথা। এই ৪০০ দিয়ে তো আমাদের একদিন চলে’— জানালেন বিআইটিআইডি ল্যাবের প্রধান।

এর আগে গত এপ্রিলের শুরুতেও করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট সংকটে পড়েছিল চট্টগ্রামের এই বিশেষায়িত হাসপাতালটি। নানা টানাপোড়েনের পর শেষ পর্যন্ত শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের হস্তক্ষেপে প্রায় ২ হাজার কিট চট্টগ্রামে ১৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম এসে পৌঁছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছ থেকে সংগ্রহ করে কিটগুলো শিক্ষা উপমন্ত্রী তার নিজের গাড়িতে করেই চট্টগ্রাম পাঠিয়েছিলেন।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!