করোনার কবলে কাস্টমস-ভ্যাটের ২১ জন

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬ জন রাজস্ব কর্মকর্তা, ৬ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও একজন কম্পিউটার অপারেটর। চট্টগ্রামের এই ১৩ জনসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস-ভ্যাট বিভাগে কর্মরত আরও ২১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ইতিপূর্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের চারজন কাস্টমস কর্মকর্তা ও একজন কম্পিউটার অপারেটর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর থেকে এই ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটিতে রয়েছেন। তারা সবাই বাসা থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নতুন এই ৫ জনসহ চট্টগ্রাম কাস্টমসে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ জনে।

আক্রান্তরা হলেন রাজস্ব কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, কপিল দেব গোস্বামী, জামিল সারওয়ার ও কম্পিউটার অপারেটর মেহেদী হাসান, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন মজুমদার, আমজাদ হোসেন, মো. আহসান হাবীব, নুরুল মোস্তফা, জাফরুল্লাহ এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. দারাশিকো, সুজন কুমার সরকার ও ফারুক আব্দুল্লাহ।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের মো. জসিম উদ্দিন মজুমদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটে আক্রান্তরা হলেন আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মজুমদার ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নুরে আলম। আর ঢাকা কাস্টম হাউসের তিনজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা-শেখ আজমুল ইসলাম, মো. ফয়সাল বিন আশিক ও ছালেহা খাতুন। ভ্যাট পশ্চিম কমিশনারেটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম। ভ্যাট উত্তর কমিশনারেটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন ও চট্টগ্রামের ভ্যাট কমিশনারেটের একজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা সানজিদা অনসূয়া ২৮ মে সন্ধ্যায় বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হলেন হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে করোনা টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করা হবে। রোগীও দিন দিন বাড়ছে।

দেশের অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে দেশের সব কাস্টম হাউজ ও কাস্টম স্টেশনে স্বাভাবিক দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখার জন্য গত ২২ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক অফিস আদেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা সময় করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!