করোনার উপসর্গে ২১১০ জনের মৃত্যু, চট্টগ্রাম বিভাগেই ৭০৪

করোনা নয়, শুধু করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ইতোমধ্যে দেশে দুই হাজার ১১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও) এই তথ্য উল্লেখ করে জানিয়েছে, এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগেই মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এরপরই রয়েছে ঢাকা বিভাগ।

বৃহস্পতিবার ( ২০ আগস্ট) গত ৯ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে বিপিও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের প্রকল্প বিপিও জানায়, মাঝে টানা পাঁচ সপ্তাহ লক্ষণ উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর সাত সপ্তাহ ধরে এমন মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।

বিপিওর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুই হাজার ১১০ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগেই মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ৭০৪ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৯১ জন, খুলনা বিভাগে ৩০৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১৬ জন, বরিশাল বিভাগে ২৪১ জন, সিলেট বিভাগে ১০০ জন, রংপুর বিভাগে ৯২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ৬০ জন।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ২৫টি গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিপিও। বিপিও বলছে, ৮ মার্চ থেকে করোনার বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে প্রতি সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। এতে দেখা যায়, ২২ থেকে ২৮ মার্চের সপ্তাহে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরের সপ্তাহে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩ জনে। এরপর এটি বাড়তে থাকে। এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২২২ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২১ থেকে ২৭ জুন।
আবার মাসভিত্তিক হিসেবে দেখা গেছে, মার্চ মাসে ১৬ জন, এপ্রিলে ৪৭৭ জন, মে মাসে ২৭৪ জন, জুন মাসে সবচেয়ে বেশি ৮৪৩ জন, জুলাই মাসে ৩৬৯ জন এবং ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৩১ জন।

বিপিও গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও তারা যে সবাই করোনাতেই সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন সেটা নাও হতে পারে। তারা এও বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে করোনাতে প্রতিদিন মৃত্যুর হিসাব দেওয়া হলেও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়াদের তথ্য দেওয়া হচ্ছে না।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!