স্বামী, মেয়ে ও তিন নাতি-নাতনীসহ করোনামুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। তবে উপাচার্যের স্বামী মেজর (অব.) মো. লতিফুল আলম চৌধুরী করোনামুক্ত হলেও অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ দিন আগে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় করোনামুক্ত হন চবি উপাচার্য ও তার পরিবারের অন্য ৫ সদস্য। তবে উপাচার্যের স্বামী মো. লতিফুল আলম চৌধুরী করোনামুক্ত হলেও তার অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে পরিবারের অন্য ৪ সদস্যকে নিয়ে ২১ জুলাই উপাচার্যের বাসভবনে ফিরেছেন উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ৪ দিন আগে উপাচার্য ম্যামসহ তার পরিবারের সবাই করোনামুক্ত হয়েছেন। তবে তাঁর স্বামীর অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এছাড়া অন্য সদস্যদের নিয়ে উপাচার্য বাসভবনে ফিরে এসেছেন। ওনারা আরো কিছুদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার করোনা আক্রান্ত হলে ক্যাম্পাসে করোনা সংক্রমণ রোধে ৪ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস লকডাউন ঘোষণা করে। পরে তা আরও আটদিন বাড়িয়ে ২৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। এর মধ্যে ১১ জুলাই সন্ধ্যায় চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারসহ তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। একইসঙ্গে আক্রান্ত হন উপাচার্যের বাংলোর দুই কর্মচারী। পরদিন ১২ জুলাই তারা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
এমআইটি/এমএফও