করোনাকালের দ্বিতীয় ঈদে মহামারি মুক্তির আকুল প্রার্থনা

ঈদুল ফিতরের চেয়ে উচ্ছ্বলতা বেড়েছে এবার

করোনামুক্তির আকুল প্রার্থনার পাশাপাশি দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে মুসলিম জাহানের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনাকালে দ্বিতীয় ঈদ পালিত হচ্ছে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের চেয়ে এবারের ঈদে মুসল্লিদের মধ্যে বেশি উচ্ছ্বলতা লক্ষ্য করা গেছে।

চট্টগ্রামের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে দামপাড়া জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে। শনিবার (১ আগস্ট) সকাল পৌনে ৮টায় প্রথম ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হজরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।

মসজিদের ভেতরে সামাজিক দূরত্ব মেনেই ঈদের জামাতে অংশ নেন হাজারো মুসল্লি। বরাবরের মতো এবারও কোলাকুলি করেননি মুসল্লিরা। এছাড়া মসজিদের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল।

জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল পৌনে ৯ টায়। জামাতে ইমামতি করেন মসজিদটির পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আহমুদুল হক। অন্যদিকে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী লালদীঘি শাহি জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সোয়া ৮টায়।

এদিকে একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ৪১ ওয়ার্ডের মসজিদগুলোতেও অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের জামাত। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হয়েছে মুসল্লিদের। এর মধ্যে বাসা থেকে অজু করে যাওয়া, বাসা থেকে জায়নামাজ নিয়ে যাওয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করে মসজিদে ঢোকাসহ ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি না করার নির্দেশনা ছিল। সাধারণ মানুষদেরও এসব নিয়মকানুন মেনে ঈদের জামায়াতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!