করোনা উপসর্গে মৃত্যু—পালিয়ে গেলেন স্বজনরা, দাফন করলেন ওসি

করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া গার্মেন্টস কর্মী কুতুবদিয়ার শেকুফা আকতার সুমির লাশ দাফনে এলাকার লোকদের বাধার কারণে মৃতদেহ ফেলে চলে যান স্বজনরা। শেষে কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস এসে দাফনকার্য সম্পন্ন করেছেন। জানাজা, দাফনসহ সকল কাজে ওসি নিজেই অংশ নেন।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে কুতুবদিয়া দ্বীপের আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন জানায়, ইউনিয়নের ঘাটকুল পাড়ার বাসিন্দা শফিউল আলমের কন্যা শেকুফা আকতার সুমি (২১) কাজ করতেন চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টস কারখানায়। চট্টগ্রামেই করোনা উপসর্গ নিয়ে রোববার (৩১ মে) রাতে মারা যান সুমি। স্বজনরা লাশটি পৌঁছে দেন কুতুবদিয়া দ্বীপে। এ অবস্থায় ঘাটকুল পাড়ার বাসিন্দারা স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফনে বাধা দেন। বাবার বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন কার্যত আত্মগোপনে চলে যান লাশ দাফন না করেই। এ অবস্থায় ওসি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কবর খনন থেকে শুরু করে জানাযা ও দাফনে অংশ নেন। তাকে সহযোগিতা করেন কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সদস্য ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মী। জানাযায় অংশ নেন উপজেলার সহকারি কমিশনারও (ভূমি)।

এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস বলেন, মেয়েটার করোনা রোগের বিভিন্ন উপসর্গ ছিলো। যা আমাদের চট্টগ্রাম থেকে একজন চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় দাফনের ব্যাপারাে একটু বাধা সৃষ্টি হয়। এমনকি রোগীর স্বজনরাও মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে নিজ দায়িত্বে লোক দিয়ে কবর খনন, মৃতদেহের গোসল, জানাজা ও দাফনকাজ সম্পন্ন করলাম।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!