করদাতাদের উপর চাপ সৃষ্টি না করার আহবান নাদের খানের

চট্টগ্রামের সেরা করদাতা প্রাইম ব্যাংকের পরিচালক ও প্যাডরোলো (এনকে) লিমিটেডের চেয়ারম্যান নাদের খান বলেছেন, ‘যারা কর দিচ্ছেন তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় কর আরও বেশী দেওয়ার জন্য। যারা কর দেওয়ার মতো ব্যবসা করেন কিন্তু কর দেয় না তাদের উপর কোন ধরণের চাপও নেই। তাই কর কর্মকর্তাদের অনুরোধ নতুন কর দাতা সৃষ্টি করুণ। এতে দেশের জন্য উন্নতি হবে। আগামীতে করের টাকায় সরকার আরও বড় বাজেট দিতে পারবে, দেশের উন্নয়ন করতে পারবে।”

চট্টগ্রাম নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারের ৪২ জন সেরা করদাতার সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নাদের খান বলেন, ‘যারা কর দেন তাদের ওপর বারবার হামলা হয়। আমরা যদি ভীতিতে থাকি করের আওতা বাড়বে না। ফটিকছড়িতে আমার চা বাগান আছে। সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করি। এখন ভিলেজ ইকোনমি ভাইব্রেন্ট। ভ্যাট নিয়ে অনেকের ভীতি আছে।’

তিনি বলেন, ‘কর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ভ্যাটের আদি রীতি মডিফাই করে এখানে চালু করা হয়েছে। কর দিতে ইচ্ছে হবে যদি সঠিক উন্নয়ন অব্যাহত থাকে। যা উন্নয়ন হবে তা পরিচর্যাও করতে হবে। করদাতা ও গ্রহীতা একই মাটির সন্তান, কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নই।’

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘চট্টগ্রামেই তিন লাখ ব্যবসায়ী রয়েছে নতুন কর দেওয়ার মতো। প্রয়োজনে প্রত্যেক উপজেলায় কর অফিস করা হোক। তৃণমুল থেকে কর আদায় করা হোক। এতে সরকার লাভবান হবে, দেশ এগিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘কর দিয়ে যারা দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাদের সামাজিকভাবে সম্মান দেওয়া হলে বড় স্বীকৃতি হবে।’

তিনি আরও বলেন, ভিশন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। এর জন্য ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হবে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের হয়রানি থেকে মুক্তি চাই। আমরা ভ্যাট দেব ট্যাক্স দেব হয়রানিমুক্ত ভ্যাট ট্যাক্স দেব। স্বেচ্ছায় দেশের উন্নয়নে ভ্যাট, ট্যাক্স দেব।’

সেরা করদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও কর অঞ্চল-১ এর কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কর কমিশনার (অঞ্চল-৪) এমএম ফজলুল হক।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কর কমিশনার একেএম হাসানুজ্জামান, কর আপিল কমিশনার মঞ্জু মান আরা বেগম, ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন, কর কমিশনার (অঞ্চল ৩) মো. মাহমুদুর রহমান, মেট্রোপলিটন চেম্বার সিএমসিসিআই পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ।

সেরা করদাতা কাজল কান্তি দাশ বলেন, ‘এ দেশে জন্মেছি এ দেশে মরব। এ দেশকে ভালোবাসতে হবে। কর দিচ্ছি দেশের উন্নয়নের জন্য। কারও লাইসেন্স ব্যবহার করে বৈষম্যমূলক ঠিকাদারি কাজ নিতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে করোনায় মারা যাওয়া কর কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের স্ত্রী নাজমা আকতার ও মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!