কঠোর হুশিয়ারি প্রশাসনের কর্তাদের, সাম্প্রদায়িক অপতৎপরতা সহ্য হবে না

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরে জড়িত ও ভাস্কর্য নিয়ে অপপ্রচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর বক্তৃতা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলা বাংলাদেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার হীন উদ্দেশ্যে লিপ্ত রয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা। মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর এ ঔদ্ধত্য ও অপতৎপরতা জাতির জনকের নেতৃত্বে মুক্ত এ স্বাধীন বাংলাদেশে সহ্য করা হবে না।’

তারা আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আজও দেশের উন্নয়নে বাধা সৃস্টি করছে। তারা জাতির জনকের ভাস্কর্যের ওপর কেবল আঘাত করেনি, তারা বাঙ্গালি জাতির কলিজায় আঘাত করেছে। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা উচিত।’

বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়টা দেশের জনগণের জন্য জেলে কাটিয়েছেন উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জীবন উৎসর্গ করেছেন বাঙ্গালি জাতির মুক্তির জন্য, বাঙ্গালির জাতিসত্ত্বার জন্য। জাতির জনকের মত একজন দেশদরদী না থাকলে হয়তো এদেশ কোনোদিন স্বাধীন হতো না।’

এ সময় বক্তব্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহারিয়ার কবির, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নায়েবুল ইসলাম ফটিক প্রমুখ।

সিএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!