কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন নিয়ে তোপের মুখে বিমান মন্ত্রণালয়

কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় বাড়ানো হচ্ছে বারবার। বিষয়টি জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব কমিটির ক্ষোভের মুখে পড়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। তাতে মন্ত্রণালয় জানায়, কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে তিনবার সময় বাড়ানো হয়েছে। এতে ব্যয়ও বেড়েছে। এখন ৮০ দশমিক ৩০ শতাংশ বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি শেষ হবে। এতে কমিটির একাধিক সদস্য ক্ষোভ জানান।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে সংসদীয় কমিটি জানতে চেয়েছে, কেন বারবার এই প্রকল্পের সময় বাড়ানো হচ্ছে? ২০০৯ সালে নেওয়া প্রকল্প এখনও কেন শেষ হয়নি? ঠিকাদারকে টাকা পরিশোধ করা হয়ে গেছে কিনা? তবে জবাবে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন জটিলতার কথা জানিয়েছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. আব্দুস শহীদ বলেন, ‘এই প্রকল্পের কয়েকটি অংশের কাজ ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয় করছে। যে কারণে বিলম্বিত হয়েছে। তবে এই কারণেই বিলম্বিত হয়েছে কিনা, এটি দেখা হবে। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালককে একটি লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর কমিটি পরবর্তী নির্দেশনা দেবে।’

সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটি বলেছে, প্রকল্পের খরচ বৃদ্ধি রোধ করতে যেসব প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের বিষয় আছে সেগুলো শুরু থেকেই ভালোভাবে নিরীক্ষা করে সে অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা উচিত। প্রয়োজনে একটি বড় প্রকল্পকে কয়েক ভাগে ভাগ করে মন্ত্রণালয়কে ছোট একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যেকোনও প্রকল্প নেওয়ার আগে মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

দীর্ঘদিন আগে যেসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে কিন্তু এখন সেগুলোর কাজ বন্ধ বা বন্ধ হওয়ার উপক্রম— এমন প্রকল্পগুলোর কাজ কীভাবে দ্রুত শুরু করে বাস্তবায়ন করা যায় মন্ত্রণালয়কে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কমিটি সুপারিশ করেছে।

আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, এবি তাজুল ইসলাম, ফজলে হোসেন বাদশা, আহসান আদেলুর রহমান এবং ওয়াসিকা আয়শা খান বৈঠকে অংশ নেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!