কক্সবাজারে নাচ গান জলকেলিতে মাতোয়ারা রাখাইন তরুণ-তরুণীরা

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নোনা জল ও বালিয়াড়িতে জমে উঠেছে রাখাইনদের বর্ষা উৎসব। এ উৎসবকে ঘিরে সৈকত তটে প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার বসছে রাখাইন তরুণ-তরুণীদের মিলনমেলা। শুধু রাখাইন নয়, সম্প্রীতির বন্ধনকে সুদৃঢ় করার প্রত্যয়ে সে উৎসবে রাখাইনদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নর-নারীরাও। এদিকে শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী পাবর্ত্য জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে রাখাইন তরুণী-তরুণীরা এ উৎসবে যোগ দেয়।

জানা গেছে, পুরো আষাঢ় মাস ধরে চলবে রাখাইনদের অন্যরকম এ উৎসব। চলতি বছরের ২৪ মে থেকে শুরু হওয়া এই বর্ষা উৎসব চলবে আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত। রাখাইন সম্পদায়ের নর-নারীরা আদিকাল থেকে এ উৎসব পালন করে আসছে। শুধু তরুণ-তরুণী নয়, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সব বয়সের লোকজন এ উৎসবে সামিল হয়েছে। কেউ বা এসেছে ছেলে-মেয়ে নিয়ে, কেউ বা স্ত্রী আবার কেউ মা-বাবাকে নিয়ে এসেছে সমুদ্র স্নানে মেতে উঠে এ উৎসব পালন করতে। শুধু সমুদ্রের জলে স্নান করা হয়, সারি সারি ঝাউবাগানের মধ্যে দলে দলে বসে নাচে-গানে মেতে ছিল রাখাইন তরুণী-তরুণীসহ সকল বয়সের নর-নারীরা। সঙ্গে ছিল সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবারের আয়োজন। শুধু খাওয়া-দাওয়া নয়, চলছে নাচ-গানসহ আনন্দ আয়োজনে মজার সময় কাটছে সবার। যেন সৈকতের ঝাউবাগানজুড়ে আনন্দের বন্যা বইছে।

উৎসব পালন করতে আসা রাখাইন তরুণ উক্য মং, মংবা রাখাইনসহ একাধিক রাখাইন যুবক জানান, এ উৎসবটি হচ্ছে আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমরা প্রতিবছর এ উৎসবের মধ্যে দিয়ে নিজেদের ভ্রাতৃত্ববোধ ফিরে পাই। তাই আমরা আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সকল বয়সের নর-নারীরা হিংসা-বিভেদ ভুলে সকলে এককাতারে এ উৎসবে সামিল হয়।

জানা গেছে, প্রতিবছর বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান তিন মাসব্যাপী আষাঢ়ী পূর্ণিমার আগে (আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত) দুই থেকে আড়াইমাস সৈকতে এ উৎসব করে থাকে রাখাইন সম্প্রদায়।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!