কক্সবাজারে সরেনি ‘উপজেলা বাজার’, টোল আদায় চলছেই

ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কক্সবাজার সদরে অবস্থিত উপজেলা বাজারে টোলের নামে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। অথচ গত ১৪ এপ্রিল থেকেই ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। স্থানীয় এ সিন্ডিকেট ১৪ এপ্রিলের পর থেকে বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ‘খাস কালেকশান’ নাম দিয়ে এ অবৈধ অর্থ আদায় করছে।

গত পহেলা বৈশাখের দিন বাজারের ইজারার মেয়াদ শেষ হলে পরে আর ইজারা দেয়া হয়নি। ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসন দুইটি বাজার অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বাজার দুটি হল লিংক রোড বাজার ও উপজেলা বাজার। লিংক রোড বাজার অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হলেও উপজেলা বাজার সরানো হয়নি।

এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম মাহফুজুর রহমান জানান, জায়গা চিহ্নিত করতে না পারায় আপাতত সরানো যায়নি উপজেলা বাজারটি।

এদিকে নতুন করে ইজারা না হওয়ায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট টোলের নামে অবৈধভাবে প্রতিদিন বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয় নাসির মেম্বার ও সৈয়দ আকবরের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটে রয়েছে ১০-১২ জন সদস্য। তাদের ভয়ে ব্যবসায়ীরা মুখ খুলতে নারাজ। সিন্ডিকেটের সদস্যরা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন টোলের নামে টাকা নিচ্ছেন যা অবৈধ বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

এবিষয়ে সিন্ডিকেট নেতা সৈয়দ আকবর বলেন, আমরা বৈধভাবে টোল নিচ্ছি। কারো কাছে জোর করছি না।
টোল আদায়ের বিষয়টি বৈধ কিনা জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম মাহফুজুর রহমান বলেন, গত বছর বাজারটি ২১ লক্ষ টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছিল। খাস কালেকশানের মাধ্যমে ওই পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে কারা খাস কালেকশান আদায় করবে এই প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, তহশিলদার বা ভূমি অফিসের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা খাস কালেকশান করবেন। কিন্তু বাস্তবে আগের ইজারাদারের পক্ষেই উল্লেখিত সিন্ডিকেট সদস্যরা খাস কালেকশানের নামে অবৈধভাবে টোল আদায় করছে বলে অভিযোগে রয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত যানজট নিরসন সংক্রান্ত সভায় লিংক রোড ও সদর উপজেলা বাজারটি অন্যত্র সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ১০ এপ্রিল এ বিষয়ে একটি চিঠিও গ্রহণ করনে। চিঠিতে লিংক রোড বাজার ও উপজেলা বাজার ইজারা বাতিলের ব্যবস্থা নিতে এবং ইজারা কার্যক্রম বন্ধ করার পর বাজার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু উপজেলা বাজারটি সরানো হয়নি। তবে টোলের নামে আদায় করা হচ্ছে অবৈধ অর্থ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!