কক্সবাজারে সংক্রমণ বাড়ছেই, এবার রেড জোনের আওতায় আসছে রামু

কক্সবাজারে দিন দিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। একইসঙ্গে বাড়ছে প্রাণহানিও। করোনা সংক্রমণ বাড়ায় প্রথম দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১০টি ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এবার নতুন করে রেড জোনের আওতায় আসছে রামু উপজেলাও।

সর্বশেষ রোববার (২১ জুন) পর্যন্ত রামু উপজেলায় চেয়ারম্যান, এসিল্যান্ড, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ জন। তাই করোনার সংক্রমণ কমিয়ে আনতে এই উপজেলাকে রেড জোনে আওতায় আনা হচ্ছে।

এ উপলক্ষে সোমবার (২২ জুন) সকালে উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আগামী ২৮ জুন থেকে রামু সদরের চৌমুহনী স্টেশনসহ আশ-পাশের এলাকা রেড জোনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল।

উপস্থিত ছিলেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, রামুতে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি সদর ইউনিয়ন ফতেখাঁরকুলে। এই ইউনিয়নের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল পুরো পরিবারসহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সরওয়ার উদ্দিন, উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ক্যছাই মং চাক। এছাড়াও ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব, কক্সবাজার বেতারের সঙ্গীত প্রযোজক বশিরুল ইসলাম, রামু প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুনীল বড়ুয়াসহ ৪৫ জন।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!