কক্সবাজারে পর্যটন জোনে অপরিকল্পিতভাবে ধোঁয়া অপসারণ ! ব্যবস্থা নেই

শাহেদ ইমরান মিজান. কক্সবাজার :
কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনে অপরিকল্পিত ভাবে ধোঁয়া অপসারণকারী রেস্তোরাঁ গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ধোঁয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

coxsbazar

অন্যদিকে রাস্তার উপর বসানো হোটেলের জেনারেটরের শব্দেও মারাত্মক শব্দ দূষণ হচ্ছে। ফলে পর্যটন এলাকার পরিবেশ বিষিয়ে উঠছে। একইভাবে কারণে পর্যটকরা চরম বিড়ম্বায় পড়ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের পর্যটক অধ্যুষিত কলাতলী হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় শতাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে। এসবের মধ্যে বেশকিছু রেস্তোরাঁর ধোঁয়া অপসারণে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। রেস্তোরাঁ গুলো নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে জনসমাগম এলাকায় ধোঁয়া অপসারণ করেই যাচ্ছে। লম্বা চোঙা বসিয়ে উপরে ধোঁয়া ছাড়ার নির্দেশ থাকলেও এসব রেস্তোরাঁগুলো চলাচলের রাস্তায় নির্বিঘ্নে ধোঁয়া ছাড়ছে।

 

সেন্টমার্টিন রিসোর্টের কাশফুল রেস্তোরাঁ, পৌষালী রেস্তোরাঁ, শর্মা হাউজ রেস্তোরাঁ, নীল দরিয়া, কাশবাগান রেস্তোরাঁ, নবাবী রেস্তোরাঁ, মাছরাঙা রেস্তোরাঁ এবং রোদেলা রেস্তোরাঁর মতো নামকরা রেস্তোরাঁগুলোও যত্রতত্র ধোঁয়া ছাড়ছে। এছাড়াও প্রায় সব রেস্তোরাঁ এভাবে যত্রতত্র ধোঁয়া ছাড়ছে। প্রায় সব রেস্তোরাঁয় তিন থেকে পাঁচটি পর্যন্ত চোঙা দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ছে। অন্যদিকে বেশ কয়েকিট রেস্তেরারাঁর জেনারেটর বসানো হয়েছে চলাচলের রাস্তায়।

নিয়ম রয়েছে, লম্বা চোঙা বসিয়ে জনবসতির উপরে ধোঁয়া অপসারণ করা। তাজ বে’সহ কয়েকটি রেস্তোরাঁ নিয়ম মেনে উপরে ধোঁয়া অপসারণ করলেও অন্যান্য রেস্তোরাঁগুলো তা মানছে না। তারা পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনায়সে যত্রযত্র ধোঁয়া অপসারণ করে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা ব্যবসায়ীরা জানান, ধোঁয়াগুলো যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়ে পর্যটকসহ স্থানীয় লোকজনের স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এক নাগাড়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় পর্যটন এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। এতে পর্যটকরা বিমুখ হয়ে পড়ছেন।

 

অপরিকল্পিত রেস্তোরাঁগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কয়েকবার লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এই পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাদের দাবি খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, অবৈধভাবে ধোঁয়া ছাড়া রেস্তোরাঁগুলোর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ও পৌরসভার কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

কয়েকবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। প্রকাশ্যে এভাবে বেআইনী ভাবে ধোঁয়ার ছাড়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার না নেয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলেন মনে করছেন তারা। ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন টাকার মাধ্যমে ম্যানেজ হয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

 

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম জানান, অপরিকল্পিতভাবে ধোঁয়া অপসারণকারী রেস্তোরাঁগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে।

 

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!