কক্সবাজারে দুদকের গণশুনানিতে অভিযোগের পাহাড়!

কক্সবাজার দুদকের গণশুনানিতে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। শুনানির সময় দুদক কমিশনারের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন অভিযুক্ত সরকারি কর্তারা। দুদক কর্মকর্তারা সাধারণ ভূক্তভোগিদের বেশির ভাগ অভিযোগ এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধানেরও আশ্বাস দেন।

শুনানিতে দুদক কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের ইঙ্গিত করে বলেন, দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাবেন, এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই। কঠোর শাস্তির মুখামুখি হতে হবে দুর্নীতিবাজদের।

দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম। সভাপতি ও মর্ডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আবছার।

প্রধান অতিথি দুদক কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেন, দেশের মালিক জনগণ। জনগণ সেবা বঞ্চিত হচ্ছে কেনো? জনগণ সেবা পেলে কেনো হাজার হাজার অভিযোগ? তিনি বলেন, প্রতিদিন কেন আপনাদের এতো অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে? আমরা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের মুখ থেকে শুনতে চাই, জনগণ সেবা পেলে কেন তাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ তুলছে? আর জনগন কেন সেবা পাচ্ছেনা-সেটাও জনগণের মুখে শুনতে চাই।

গণশুনানিতে কক্সবাজার সদর উপজেলা ভূমি অফিস, জরীপ অফিস, সাব রেজিস্টার অফিস, পল্লীবিদ্যুৎ অফিস, হিসাবরক্ষণ অফিস, পিআইও অফিস, সমবায় অফিস, সমাজসেবা অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ আরো বেশ ক’টি সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গণশুনানির শুরুতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা বঞ্চিত সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠে। সম্প্রতিক ভুল চিকিৎসা রোগীর মৃত্যু যথাযথ সমস্যা সামাধান না করে উল্টো ডাক্তাদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে উপস্থিত সেবা বঞ্চিতরা। শুরুতে জয়নাল আবেদীন নামের এক সেবা বঞ্চিত অভিযোগ করেন, সদর হাসপাতেলে বেশ কয়েকবার গিয়েও তিনি চিকিৎসা পাননি। ডাক্তাররা তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। আরেক অভিযোগকারী নাজিম উদ্দীন অভিযোগে বলেন, কথায় কথায় সদর হাসপাতালের ধর্মঘটের কারণে দুই সপ্তাহে ২০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। উল্টো চিকিৎসাসেবা প্রার্থীদের ধরে মারধর করে জেলে পাঠিয়েছে ডাক্তাররা। তিনি আরো অভিযোগ করেন, রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেয়া হয়েছে। সদর হাসপাতালে খাবারের মানও খুবই নিম্ন মানের। দেখভালের কেউ যেন নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!