ত্রাণের নামে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিল বিকাশ জালিয়াত

কক্সবাজার

কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের জালে আটক হয়েছে নুর মোহাম্মদ মানিক (৩৪) নামের বিকাশ জালিয়াতি চক্রের এক সদস্য। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় কক্সবাজার শহরের হলিডের মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি উখিয়ার দুই ভাইস চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তা পরিচয়ে চকরিয়ার চরণদ্বীপের আবদুল করিমের ছেলে মোহাম্মদ নুর মানিক ফোন করেন। ফোনে তিনি জানান উখিয়া উপজেলার হতদরিদ্র মানুষের জন্য রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নামে ২০০ প্যাকেট ত্রাণ বরাদ্দ হয়েছে বলে জানান। এ জন্য প্রতিটি প্যাকেটের জন্য পরিবহন খরচ বাবদ ৭০০ টাকা করে বিকাশে পাঠাতে বলা হয়। হতদরিদ্রদের জন্য ত্রাণ বরাদ্দে কথা শুনে ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ওই ব্যক্তিকে বিকাশের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন।

পরে একই ব্যক্তি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নেছা বেবিকে কল করে জানান তার জন্যও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে ১৫০ প্যাকেট ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। তাকেও প্যাকেট প্রতি ৭০০ টাকা পরিবহন খরচ বাবদ বিকাশে পাঠাতে বলা হয়। তিনিও সরল মনে নুর মানিককে ১ লাখ টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু টাকা পাঠানোর পর থেকে ওই প্রতারকের সব নাম্বার বন্ধ পেয়ে দুই ভাইস চেয়ারম্যানের সন্দেহ হয়। ওই ব্যক্তি দুজনকেই বোকা বানিয়ে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে।

এদিকে, এ বিষয়ে উখিয়া থানায় ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম একটি এজাহার দায়ের করেন।

এজাহার পেয়ে ঘটনার মূল রহস্য ও প্রতারককে আটক করতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মানস বড়ুয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মানস বড়ুয়া ও মাসুম খান ওই বিকাশ জালিয়াতির সদস্যকে ধরতে ফাঁদ পাতে। কৌশলে অভিযান চালিয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার হলিডের মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মানস বড়ুয়া বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে ওই প্রতারককে আটক করা হয়। তার সাথে আরও কারা জড়িত রয়েছে তা বের করা হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!