কক্সবাজারে অতিঝুঁকিপূণ ৩০টি বসতি সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন

কক্সবাজারে অতিঝুঁকিপূণ ৩০টি বসতি সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন 1কক্সবাজার প্রতিনিধি : পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে শহরের তিনটি পাহাড় থেকে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৩০টি বসতি সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
সোমবার (৩জুলাই) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের তিনটি পৃথক দল অভিযান চালিয়ে স্থাপনা গুলো সরিয়ে নেয়।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।
শহরের বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন সাহিত্যিকাপল্লী পল্লানকাটা পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি বসতি সরিয়ে নেওয়া হয়। ওই পাহাড়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পিএম ইমরুল কায়েস। তিনি বলেন, রমজান মাসে কয়েক দফা পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি গুলো চিহ্নিত করা হয়। হঠাৎ টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় পল্লানটাকা পাহাড় থেকে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৫টি বসতি সরিয়ে নেওয়া হয়। শহরের দক্ষিণ ঘোনারপাড়া সার্কিট সংলগ্ন রাডার ষ্টেশনের পাহাড়ের পূর্বপাশের অংশ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ২০ টি বসতি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই পাহাড়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) তাহমিলুর রহমান। তাঁর সাথে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মুমিনুল ইসলাম। এনডিসি বলেন, পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে রাড়ার ষ্টেশনের পাহাড়ের অতিঝুঁকিপূর্ণ ২০ টি বাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়। সরকারি জমি দখল করে অবৈধ বসতি গড়ে তোলার অভিযোগে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার দায়ের করা হচ্ছে।
শহরের সার্কিট হাউজের পূর্বপাশে মোহাজের পাড়া এলাকার পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নির্মানাধীন পাচটি ভবনের আংশিক অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। ওই এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরিয়ে নেওয়ার কাজে বাঁধা দেন স্থানীয় কমিশনার জাবেদ কায়সার ও সমাজের নেতা সালাউদ্দিন। মোহাজের পাড়া পাহাড়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পঙ্কজ বড়–য়া। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম।
পঙ্কজ বড়–য়া বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নির্মানাধীন পাঁচটি ভবনের আংশিক ভেঙে দেওয়া হয়। বাকি অংশটুকু বাড়ির মালিক নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়াও আরও ৩টি নির্মানাধীন ভবনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, সোমবারের অভিযানে যেসব পাহাড় থেকে বসতি সরিয়ে নেওয়া হয় সেগুলো সরকারি খাস জমি। অবৈধভাবেই বসতি গড়ে উঠেছে। অভিযানের সময় স্থানীয় কমিশনার ও সমাজের এক নেতা বাঁধা ও জনগণকে ক্ষেপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কেটে অবৈধভাবে সরকারি বিক্রি ও অভিযানে বাঁধা দেওয়ার অপরাধে পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের কমিশনার জাবেদ কায়সার ও মোহাজের পাড়া সমাজ কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এছাড়াও অবৈধ বসতি গড়ে তোলার অপরাধে ওই এলাকার ১০ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!