কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে হঠাৎ করেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে আশঙ্কাজনক হারে। মাত্র চার দিনে এই প্রকল্পের ভেতরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১০৪ জন। এর মধ্যে বিদেশি কর্মীর সংখ্যাই কমপক্ষে ৭৫ জন। করোনার বিস্তার ঠেকাতে এরই মধ্যে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি ইউনিটের কাজ ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দেশের বৃহত্তম মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মিত হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ৬০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট এবং জুলাইয়ে ৬০০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে ২০২৫ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরটি।
জানা গেছে, মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত রয়েছে দেশি ও বিদেশি অন্তত ১০ হাজার কর্মী। এর মধ্যে কেবল একটি ইউনিটেই গত চার দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১০৪ জন।
রোববার (৯ জানুয়ারি) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে করোনা শনাক্ত হওয়া ৬৮ জনই মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মী। ৮ জানুয়ারি সেখানে করোনা শনাক্ত হয় ৩৫ জনের। অন্যদিকে ৭ জানুয়ারি করোনা ধরা পড়ে ৮ জনের এবং ৬ জানুয়ারি ২৩ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
কক্সবাজার জেলার সিভিল সার্জন বলেছেন, সম্প্রতি ভারতে ছুটি কাটিয়ে দেশটি থেকে আসা অনেক কর্মী মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে যোগ দিয়েছেন। তাদের অনেকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে সেটা করোনার নতুন ধরন অমিক্রন কি না, সেটা জানতে নমুনা পাঠানো হয়েছে ঢাকায়।
এদিকে বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভেতর কর্মরত কোনো লোক যেন বাইরে যেতে না পারে এবং বাইরের কেউ যেন ভেতরে ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাতারবাড়ী প্রকল্পে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো না গেলে পুরো কক্সবাজারই পড়তে পারে নতুন ঝুঁকিতে।
সিপি