ওসি প্রদীপ দম্পতির অবৈধ সম্পদের মামলা আদালতে, বউয়ের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত অভিযোগপত্রের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে ওসি প্রদীপের জামিন না মঞ্জুর এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদুল হক মাহমুদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত ২৬ জুলাই প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা। বুধবার আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। আদালত একইসঙ্গে ওসি প্রদীপের জামিন নামঞ্জুর করেছেন। তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জারি করেছেন গ্রেফতারি পরোয়ানা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে গত বছরের ২৩ আগস্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সাল থেকে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য নোটিশ করা হলে একই বছরের জুন মাসে তারা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন।

মামলাটির তদন্ত শেষে ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণকে আসামি করা হয়েছে। এতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে গত ৫ আগস্ট টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!