ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন বাদির

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ২৩ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে বায়েজিদ থানার সাবেক ও বর্তমান ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন বাদী মো. ইয়াসিন। তিনি নগরীর পলিটেকনিক এলাকার শামসুল হকের ছেলে এবং মেসার্স ইয়াছিন এন্টারপ্রাইজের মালিক।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদের আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন বাদি। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে ২ এপ্রিল শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদির আইনজীবী শহীদুল ইসলাম সুমন বলেন, বাদি ও আসামিদের মধ্যে বিষয়টি আপোষ হওয়ায় সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন জমা দিয়েছেন বাদি মো. ইয়াছিন।

প্রসঙ্গত, ১৯ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মো. ইয়াছিন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারকে (প্রশাসন ও অর্থ) নিজে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মামলায় আসামিরা হলেন- বায়েজিদ থানার বর্তমান ওসি প্রিটন সরকার, সাবেক ওসি আতাউর রহমান খন্দকার, বায়েজিদ থানার এসআই মো. আফতাব, এএসআই মো. ইব্রাহিম ও মিঠুন নাথ, কনস্টেবল রহমান ও সাইফুল।

মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকালে তাকে এসআই মো. আফতাবসহ অন্য আসামিরা বায়েজিদ থানায় ধরে নিয়ে যান। পরে তাকে আটকে রেখে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা। তার ভাই মো. ফারুক ১১ লাখ টাকা দিলে দুইটি অলিখিত স্ট্যাম্পে সই নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

এরপর ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তাকে আবার তুলে নিয়ে মাইক্রোবাস যোগে অন্যন্যা আবাসিকের নির্জন এলাকায় নিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। ১২ লাখ টাকা দিলে সেদিন তাকে আতুরার ডিপো এলাকায় নিয়ে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এই দুটি ঘটনা আইজিপি ও সিএমপি কমিশানার বরাবর লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন ইয়াসিন।

এফএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!