ওশান পার্কসহ চট্টগ্রামের তিন প্রকল্পে থাইল্যান্ডকে পাশে চান মেয়র

চট্টগ্রামে ওশান পার্ক, এমিউজমেন্ট পার্ক ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে মেয়রের সঙ্গে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদী সামিতমোরের সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ সহযোগিতা চান।

এর আগে রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদী চসিক কার্যালয়ে এলে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও ফুল দিয়ে উষ্ণ অর্ভ্যথনা জানান মেয়র রেজাউল। সাক্ষাতকালে তাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ হয়।

থাই রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম নগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের প্রশংসা করে বলেন, আমরা এই নগরীকে পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে সহযোগিতার হাত বাড়াতে চাই।

এ সময় সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে এলে যে কেউ চট্টগ্রামের রূপে বিমোহিত হয়। নগরীর এই সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে আমরা প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যে কাট্টলী লিংক রোডে ওশান পার্ক, এমিউজমেন্ট পার্ক ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। তিন প্রকল্পে থাইল্যান্ডের সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান মেয়র।

ইতিপূর্বে পাহাড়ধস রোধে বিন্না ঘাস প্রকল্পে থাইল্যান্ড সহযোগিতা করায় রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, অতিবৃষ্টি বা ভারি বর্ষণে চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকার পাহাড় ধস ও ভূমি ক্ষয়রোধে ‘জাদুর ঘাস’ খাত বিন্যা ঘাস পরিবেশবিদদের কাছেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। থাইল্যান্ডের সহযোগিতায় আমরা আগামীতে এই প্রকল্পকে আরো সম্প্রসারিত করতে চাই।

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, থাইল্যান্ডের বাংলাদেশস্থ কনসাল চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!