রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সুলতানাত অব ওমানের ইসমাঈলের আফিয়া এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় মেশিনের কাজে কর্মরত অবস্থায় ভবন থেকে পড়ে নিহত প্রবাসী সালামত আলীর (৪৫) লাশ দেশে এসেছে।
গতকাল বাংলাদেশ সময় সকাল দশটার দিকে বিমানের একটি ফ্লাইটে করে তার লাশ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছে। সেখানে স্বজনরা তার লাশ গ্রহণ করে।
প্রবাসী সালামত আলীর লাশবাহী গাড়ীটি বেলা দুইটার দিকে তার গ্রামের বাড়ী কদলপুর ইউনিয়নের ফকির শাহ কাজী বাড়ীতে এসে পৌঁছার সাথে সাথেই স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতাড়না হয়।
এ সময় কফিনে বন্দী বাবার মরদেহ দেখে বিলাপে ফেটে পড়েন তার অতি আদরের চার সন্তান রিমি আকতার (২০), প্রমি আকতার (১৪), রহিমা বেগম (১২) ও একমাত্র পুত্র সন্তান সাইফুল ইসলাম (৫)। এ সময় পুরো এলাকাজুড়ে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
প্রবাসী সালামত আলীর লাশ বাড়ীতে আসার সংবাদ শুনে এলাকার লোকজন তার বাড়িতে ভীড় জমান। বাদে আছর স্থানীয় আজিজিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এদিকে পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে শোকে মূহ্যমান তার পুরো পরিবার। যার উপার্জন দিয়ে পরিবারের ভরণ পোষণ চলত তার এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবারের ভরণ পোষণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
স্বামীর অকাল মৃত্যুতে ভেঙ্গে পড়েছেন তার স্ত্রী মিনু আরা বেগম। বড় মেয়ে বিবাহ হয়েছে বছর খানেক পূর্বেই। মেঝ মেয়ে প্রমি ও ছোট মেয়ে রহিমা কদলপুর স্কুল এন্ড কলেজে নবম ও ষষ্ট শ্রেণীতে অধ্যায়ররত। একমাত্র পুত্র সাইফুল কে পি গ্রামার স্কুলে নার্সারীতে পড়ে। সালামত আলী বাড়ীতে ফোন করলেই সন্তানদের লেখাপড়ার খোঁজখবর নিতেন। তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে তিন সন্তানের লেখাপড়া নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
স্থানীয় কাজী মুহাম্মদ ইব্রাহীম জানান, ২০১১ সালে পরিবারে স্বচ্চলতা আনতে ওমানে পাড়ি জমান ফকির শাহ কাজী বারীর মৃত মুন্সি মিয়ার পুত্র সালামত আলী। ২০১৭ সালের জানুয়ারীতে ছুটি নিয়ে দেশে আসার কথা ছিল তার।
রিপোর্ট : জয়নাল আবেদিন, রাউজান ।
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::