অ্যাসাইকুডা সফটওয়্যারের আপগ্রেডেশনে বিপাকে আমদানিকারক

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ

অ্যাসাইকুডা সফটওয়্যার নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশনের কারণে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সার্ভার ১৮ ঘণ্টা অচল হয়ে পড়ে। এতে শুল্কায়ন বন্ধ থাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত চলে এই অচলাবস্থা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ কর্তৃপক্ষ আপগ্রেডেশন কার্যক্রমকে তাদের রুটিনওয়ার্ক বললেও সিএন্ডএফ এজেন্টরা বলছে কোন ঘোষণা ছাড়া সফটওয়্যার আপগ্রেড করার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরে তৈরি হয়েছে গাড়ি ও কন্টেইনার জট।

চট্টগ্রাম সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের আইনবিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদন রানা বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে অচল হয়ে যায় কাস্টমসের সার্ভার। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ থেকে কোন আগাম তথ্য জানানো হয়নি। শুল্কায়নের সকল প্রক্রিয়া শেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস নিতে গেলে সার্ভার ত্রুটির কারণে বন্দর থেকে পণ্য খালাস করা যায়নি। এতে একদিকে যেমন বন্দরে কন্টেইনার ও গাড়ি জটের সৃষ্টি হয়েছে অন্যদিকে জরিমানা গুণতে হয়েছে আমদানিকারকদের।

সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আখতার হোসেন বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আগে থেকে আমাদের বিষয়টি অবহিত করলে সিএন্ডএফ এজেন্টরা এত হয়রানির শিকার হতো না। সার্ভার বিকল থাকায় পণ্য খালাসে নেমে আসে চরম স্থবিরতা। শুক্রবার রাতে অন্তত এক হাজার ট্রাক ও লরি আটকা পড়ে। সময় মতো পণ্য খালাস করতে না পারায় বন্দরের মাসুল বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি একদিন গাড়ি আটকে থাকায় গাড়ি ভাড়াও বেড়ে গেছে। দুপুর থেকে পণ্য খালাস শুরু হলেও গাড়ি জটের সৃষ্টি হয়েছে।

একাধিক রপ্তানিকারক জানান, সার্ভার বিকল হয়ে পড়ায় আইসিডি (ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো) থেকে কোন পণ্য বন্দরে প্রবেশ করেনি। গাড়ি ভাড়া করার পর পণ্য পরিবহন করতে না পারায় তাদের পণ্য পরিবহনে দ্বিগুণ ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে। একদিন দেরি হওয়ায় পণ্য জাহাজীকরণ এবং নির্ধারিত সময়ে পণ্য প্রেরণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে প্রায়শই সার্ভারের গতি কমে যায়। সম্প্রতি সেই সমস্যা কিছুটা কমে আসলেও শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত টানা ১৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে চট্টগ্রাম বন্দরেও। একদিনের ঘানি টানতে লেগে যেতে পারে আরো কয়েকদিন।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, নির্দিষ্ট সময় পর পর সার্ভার আপগ্রেডেশন করতে হয়। এবারও তাই হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে চলে আপগ্রেডেশনের কাজ। শনিবার দুপুর থেকে পুরোপুরি সচল হয় সার্ভার।

সিএন্ডএফ এজেন্টদের এ বিষয়ে আগাম তথ্য না জানানো সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিষয়টি যাচাই করে দেখতে হবে।

এসসি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!