পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে হত্যার ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ‘শিবির কর্মী’ আবু নছরকে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে ফাঁসানোর ‘অভিযোগ উঠায় গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহারের নির্দেশে এ পরিবর্তন করা হয়েছে।
রাকিব উদ্দিন আহমেদের দায়িত্ব নেয়ার চারদিনের মাথায় এমন পরিবর্তন আসে। এ মামলায় নতুন করে তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার (পশ্চিম) কামরুজ্জামানকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলার অগ্রগতি বাড়াতে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার সকালে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন সিএমপি কমিশনার।
গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় গতকাল সকালে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার শীতলঝর্ণা এলাকা থেকে শাহজামান ওরফে রবিন (২৮) নামের এক যুবককে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তিনি ঘটনার মূল হোতা হতে পারেন বলে পুলিশ ধারণা করছে।
এর আগে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবু নছর ওরফে গুন্নু নামে শিবিরের সাবেক এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা গাড়িটি জব্দ ও এর চালককে আটক করে পুলিশ। তবে চালক জানে আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::