পরীক্ষার দিন সকালেই মায়ের মৃত্যু। এরপর শোকে মুর্ছা যায় সুমাইয়া। তাকে উদ্ধার করে ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করান স্বজনরা। খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাকে নিয়ে গিয়ে বসান পরীক্ষার হলে।
সেই সুমাইয়া এবারের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পেয়েছেন জিপিএ ৪.০৬। ওইদিন ওসি যদি তাকে পরীক্ষার হলে না নিতে তাহলে হয়তো এক বছর পিছিয়ে যেত সুমাইয়ার শিক্ষাজীবন। হয়তো আর পড়ালেখায় মনও বসতো না। তাই পান করার পর এই শিক্ষার্থী ফলাফল উৎসর্গ করেছে পুলিশকে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে পানছড়ির সাঁওতাল পাড়ার রফিকুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া আকতার ৪.০৬ পেয়ে পাস করে।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে সুমাইয়ার মা ফাতেমা বেগমের মৃত্যু হয়। এরপর মুর্ছা যাওয়া সুমাইয়াকে স্বজনরা ক্লিনিকে ভর্তি করালেও লাশ ঘরে রেখে পানছড়ি থাকার ওসি আনচারুল করিম তাকে নিয়ে যান পরীক্ষা কেন্দ্রে। হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় পরীক্ষা দেন সুমাইয়া। তার পাশেই বসে ছিলেন ওসি।
সুমাইয়া জানান, এ সফলতা পুলিশের জন্যই পেয়েছি। আমি আমার এই ফলাফল পুলিশ বাহিনীকে উৎসর্গ করছি।
পানছড়ি থানার ওসি আনচারুল করিম বলেন, ‘সুমাইয়া পাস করায় আমি খুশি। আমি যা করেছি তা পুলিশের কর্তব্য মনে করে করেছি।’
জেএস/ডিজে