এমবিবিএসসহ নানা ডিগ্রি আছে ক্লিনিকও, হাটহাজারীতে ভুয়া ডাক্তার ধরা

নামের আগে উল্লেখ আছে এমবিবিএস, ডিএইচএমএস। এছাড়াও আছে ঢাকা ও কলকাতা থেকে পাওয়া বড় বড় সব ডিগ্রিও। স্বাস্থ্য সেবায় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বলেও উল্লেখ করা হয়। নাম তার অধ্যাপক ডা. মো. সোলাইমান! এতোসব ডিগ্রি নিয়ে তিনি চিকিৎসা দিতে বসেছেন হাটহাজারী পৌরসভার নাছরিন ভবনের নিজ বাসায়। অবশেষে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের হাতে ধরা পড়েলেন এই কথিত ডাক্তার।

জানা গেছে, ‘ডক্টরস কেয়ার অ্যান্ড কনসালটেশন’ সেন্টার নামের দুই বেডের ক্লিনিক খুলে চিকিৎসা দেন আবার চেম্বারে বসে রোগীও দেখেন। জটিল বা কঠিন সব রোগের চিকিৎসা আছে অধ্যাপক ডা. মো. সোলাইমানের কাছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। ওইসময় দেখা যায় কথিত ডাক্তার সোলাইমানের ক্লিনিকে দুজন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ইমতিয়াজকে জিজ্ঞেস করলেন ঢাকার কোথা থেকে এমবিবিএস করেছেন? উনি বললেন, ‘এমবিবিএস করি নাই।’ তাহলে লিখলেন কেন? তিনি বলেন, ‘ভুলে লিখেছি।’ বাসায় দুই বেডের ক্লিনিক বানাইছেন কেন? এখানে রোগী কেন দেখছেন? তিনি বলেন, ‘ওরা নিজেরাই এসে ভর্তি হয়েছে,আমি কিছু জানি না।’ ভ্রাম্যমাণ আদালত তার কাছে ডাক্তারির সার্টিফিকেট চাইলে তিনি কেবল একটি হোমিওপ্যাথি সার্টিফিকেট দেখান। অভিযানে বয়স বিবেচনায় কথিত ডাক্তার সোলাইমানকে সাজা দেওয়া না হলেও বন্ধ করে দেওয়া হয় ডাক্তারের চেম্বার এবং ক্লিনিক।

এ ব্যাপারে রুহুল আমিন বলেন, ‘হাটহাজারী পৌরসভায় সোলাইমান নামের একজন ভুয়া ডাক্তার অপচিকিৎসা করে মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছেন এমন খবর পেয়ে অভিযান চালাই। অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তিনি রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছেন। পরে তার চেম্বার ও ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সিএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!