‘এমপির প্রেসার’/ দুই দিন থানায় আটকে দুই যুবককে নিষ্ঠুর নির্যাতন (ভিডিওসহ)

চট্টগ্রামের বন্দর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে ধরে নিয়ে আইন লঙ্ঘন করে টানা ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় দুই যুবককে থানায় আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। কোর্ট অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি) লঙ্ঘন করে কেবল আটকে রাখা নয়, ওয়ার্ড যুবলীগের এক নেতাসহ এই দুই যুবককে একেক সময় থানার একেক রুমে রেখে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করার পাশাপাশি স্বজনদের সাক্ষাত করতেও দিচ্ছে না পুলিশ। এছাড়া অমানুষিক নির্যাতন করে বাদির দাবিকৃত ‘চুরি হওয়া’ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জোর করে আদায় করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

স্বজনদের দাবি, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তীর নির্দেশে এসআই রবিউল ইসলাম এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে, এসআই রবিউল ইসলাম (নীল শার্ট পরা) ২২ আগস্ট রাত ৯টায় শোরুমে ওই দুই যুবককে হ্যান্ডকাপ পরাচ্ছেন৤ পরে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়৤ এ সময় এমপি লতিফের ভাতিজা ফারজিনকে তৎপর দেখা যায়৤

বন্দর থানা পুলিশের এতো আইন লঙ্ঘনের পেছনে দায়ী করা হচ্ছে চট্টগ্রামের বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফের প্রভাবকে। জীবন ও সাজ্জাদ নামে ওই দুই যুবককে থানায় আটকে নির্যাতন করার যে অভিযোগ উঠেছে তা এমপির বড় ভাই এম এ মজিদের বাসায় ‘চুরির’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এরপরও থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া দূরের কথা, তাদের ৫০ ঘণ্টা আটক রাখার পরও আদালতের কাছে উপস্থাপন করেনি পুলিশ। সাজ্জাদ হোসেন টিপু নগরীর ৮ নং শোলকবহর যুবলীগের সহ সভাপতি এবং সুলতান আরিফিন জীবন পোশাকব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশে নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন বন্ধে পাস হওয়া আইনে যেখানে সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, শাস্তি দেওয়া এমনকি ভয়-ভীতি দেখানোও অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে এমপি লতিফের ভাইয়ের ছেলে ফারজিনের ডাকে নগরীর জিইসিতে হোটেল লর্ডস ইনের সামনে একটি শোরুমে আসেন জীবন ও সাজ্জাদ। এ সময় বন্দর থানার একদল পুলিশ তাদের আটক করে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর থানায় নিয়ে গেলেও রাতভর বিষয়টি গোপন রাখে পুলিশ। জীবন ও সাজ্জাদকে বন্দর থানার একেক তলার একেক রুমে নিয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে পুলিশ। ২২ আগস্ট রাত থেকে প্রতিদিনই এই দুই যুবকের স্বজনরা থানায় গিয়ে বারবার দেখা করার আকুতি জানালেও পুলিশ তাদের তাড়িয়ে দেয়। জানা গেছে, ঘটনার প্রথম দিন ওই দুই যুবককে আটকের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে বন্দর থানার পুলিশ। পরদিন ২৩ আগস্ট দুপুরে পুলিশ আটকের বিষয়টি স্বীকার করে জানায়, বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় এমপি লতিফের বড় ভাই এমএ মজিদের বাসায় গত ২১ আগস্ট সংঘটিত চুরির ঘটনায় সাজ্জাদ ও জীবন নামের ওই দুই যুবককে আটক করা হয়েছে।

‘এমপির প্রেসারে’ দিনরাত নির্যাতন
পরিবারের অভিযোগ, টানা দুই দিন তিন রাত সাজ্জাদ ও জীবনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের একপর্যায়ে এমপি লতিফের পরিবারের দাবি অনুযায়ী ‘চুরি হওয়া’ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা সাজ্জাদ ও জীবনের স্বজনদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে। এরপরও থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া দূরের, টানা ৫০ ঘণ্টা আটক রাখার পরও আদালতের কাছে উপস্থাপন করেনি পুলিশ। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তীর নির্দেশে এসআই রবিউল ইসলাম এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

যুবলীগ নেতা সাজ্জাদের খালাতো ভাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তারেক বলেন, ‘জীবন সাজ্জাদের বন্ধু। সেই সূত্রে এমপি লতিফের ভাতিজা ফারজিনের সঙ্গেও তাদের দেখা সাক্ষাত হতো। তাদের মধ্যে টাকা পয়সার লেনদেনও ছিল। এ নিয়ে হয়তো বিরোধও ছিল। কিন্তু গত ২২ আগস্ট রাত ৯টার দিকে হোটেল লর্ডস ইনের সামনে কৌশলে ডেকে এনে জীবন ও সাজ্জাদকে বন্দর থানা পুলিশের মাধ্যমে তাদের আটক করায় ফারজিন।’

জীবন ও সাজ্জাদ নামে এই দুই যুবককে চট্টগ্রামের বন্দর থানায় আটকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে
জীবন ও সাজ্জাদ নামে এই দুই যুবককে চট্টগ্রামের বন্দর থানায় আটকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে

তারেক আরও বলেন, ‘প্রথম দিন তো আমরা তাদের কোন্ থানা আটক করেছে সেটা জানতামও না। পরের দিন যখন জেনেছি তখন পুুলিশ তাদের সঙ্গে সাক্ষাতও করতে দেয়নি। তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার কথাও আমরা জেনেছি। এমপি লতিফের ভাইয়ের বাসায় চুরির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার জন্য চুরি হওয়া ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকাও দুজনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে পুলিশের চাপে। এরপরও তাদের গত ৫০ ঘন্টায় ছেড়েও দেয়নি, আবার আদালতেও চালান করেনি। পুলিশ বারবার ‌‘এমপির প্রেসার আছে’ বলে আমাদের এড়িয়ে যাচ্ছে। এমপি হলেও কি পুলিশ আইনের বাইরে কাজ করতে পারবে? এরকম এমপি তো দেশে ৩০০ জন আছে।’

একই অভিযোগ এনে সুলতান আরিফিন জীবনের পিতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ফারজিনের (এমপি লতিফের ভাতিজা) সঙ্গে জীবনের মোবাইল ও কাপড় আমদানিসহ নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে দারুণ সখ্য রয়েছে। সে কারণে জীবন এমপি লতিফ সাহেবের ভাইয়ের বাসায় প্রায় সময় যাতায়াত করতো। এখন সিসিটিভিতে সেই যাওয়ার দৃশ্য দেখিয়ে বলা হচ্ছে জীবনসহ চারজন এমপির ভাইয়ের বাসায় চুরি করেছে।’

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জীবন যদি চুরিও করে তাহলে দেশে প্রচলিত আইন আছে। তাকে সেই মামলায় আটক করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে। কিন্তু পুলিশ গত ২২ আগস্ট রাতে জিইসি মোড় থেকে আটক করার পর প্রথম দিন বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপন রাখে। পরের দিন ২৩ আগস্ট জানালেও আমাদের কাউকে থানায় তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করারও সুযোগ দেয়নি। এরপর থানায় যোগাযোগের সূত্র ধরে জীবনের এক খালাতো ভাই তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায়। সে জানিয়েছে, তাদের আটক করে থানার লকআপে না রেখে একেক দিন বন্দর থানার একেক তলায় রাখা হচ্ছে। ভবনের তিনতলা থেকে পাঁচতলায় প্রতিদিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে পুলিশ। এছাড়াও ২৩ আগস্ট দুপুরে জীবনের বৌকে অনেক কান্নাকাটির পর দূর থেকে দেখানো হয় জীবনকে। এ সময় তার কান বেয়ে রক্ত পড়তে দেখে যায়।’

নির্যাতনের শিকার যুবকের স্বজনরা জানিয়েছেন, সুলতান আরিফিন জীবন ও সাজ্জাদ হোসেন টিপুর সঙ্গে গোসাইলডাঙ্গার বাসিন্দা চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এমএ লতিফের বড় ভাই এমএ মজিদের ছেলে ফারজিনের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। জীবন মূলত এমপি লতিফের ভাইয়ের ছেলে ফারজিনের সঙ্গে ব্যবসা করে। তবে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফারজিন তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়ী নন। তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে সুদে টাকা বিনিয়োগ করেন—এমন প্রচার আছে এলাকায়। সুদে টাকা নিয়ে ব্যবসা করায় জীবনের সঙ্গে ফারজিনের পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের আর্থিক লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে এমপি লতিফের চাপে পুলিশ জীবন ও সাজ্জাদের আটক কাহিনী ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।

কিছু জানেন না এমপি লতিফ!
এমপির চাপে থানায় আটক রেখে দুই যুবককে নিষ্ঠুর নির্যাতনের অভিযোগ উঠলেও বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এমএ লতিফ বিষয়টি সম্পর্কে মোটেই অবগত নন—এ দাবি করে শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এই বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে আমার কোনও কথাই হয়নি।’

এম এ লতিফ বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। চুরি কখন হয়েছে, আটক কে হয়েছে। আমার ভাইয়ের বাসায় চুরি হলেই আমাকে কেন চাপ দিতে হবে? এটা পুলিশের কাজ, পুলিশই করবে। আপনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারাই ভালো বলতে পারবে। চুরির ঘটনায় চোর না ধরলে কেমন হবে?’

পুলিশের বক্তব্যে গরমিল
অন্যদিকে বন্দর থানা পুলিশের দাবি, আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে চুরি হওয়া মালামাল ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের আটকের সময়টিও ২৪ আগস্ট দুপুরে বলে পুলিশ দাবি করছে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘এমপি মহোদয়ের ভাইয়ের বাসায় চুরির ঘটনায় এ পর্যন্ত দুজনকে আটকের পাশাপাশি কিছু মালামাল ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না।’

নগরীর জিইসি মোড় থেকে দুই যুবককে গত ২২ আগস্ট আটক করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘এসব মিথ্যা কথা৤ তাদের আজকে দুপুরে আটক করা হয়েছে।’ গতকাল ২৩ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ওসি। তখন বিস্তারিত জানতে ওসি তদন্তের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শও দেন তিনি। পরে ওসি তদন্ত বলেছিলেন, ‘এখনও অভিযান চলছে, পরে জানানো হবে।’

২৪ আগস্ট রাতে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলে ওসি সুকান্ত বলেন, ‘ভাই বিষয়টি নিয়ে আপনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রবিউলের সঙ্গে কথা বলেন।’

এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানার এস আই রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এমপি সাহেবের ভাতিজার দায়ের করা মামলায় এ পর্যন্ত জীবন, টিপু ও ইসমাইল নামে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া তাদের স্বীকারোক্তি অনুসারে স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।’

আটকের সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে এস আই রবিউল বলেন, ‘ভাই এই মামলার কারণে গত চার দিন পর আজকে রাতেই ভাত খাওয়ার সময় পেয়েছি। আসামিপক্ষ যেসব অভিযোগ করছে তা মোটেই সত্য নয়। জীবন ও টিপুকে আজকে (২৪ আগস্ট) দুপুর ২টায় আটক করা হয়েছে। আর রাতে ইসমাইল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।’ আটকদের নির্যাতনের বিষয়টিও পুরোপুরি অস্বীকার করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

বেআইনি আটক নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
গত সরকারের সময়ে জেনেভায় জাতিসংঘের ‘কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চার এন্ড আদার ক্রুয়েল, ইনহিউম্যান অর ডিগ্রেডিং ট্রিটমেন্ট অর পানিশমেন্ট’ শীর্ষক একটি সনদে স্বাক্ষর করেছিল বাংলাদেশ। কারা হেফাজতে আসামি নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে নানা সময়ে গুরুতর অভিযোগের পর্যালোচনা হয়েছিল আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের উপস্থিতিতেই। এর আগে যদিও ২০১৩ সালে বাংলাদেশে নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন বন্ধে একটি আইন পাস করা হয়। যেখানে সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, শাস্তি দেওয়া এমনকি ভয়-ভীতি দেখানোও অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়েছে। যদিও বা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিল।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান বলেন, ‘সিআরপিসি অনুযায়ী কোনও আসামি বা সন্দেহজনক কাউকে আটকের সময় থেকে থানায় পৌঁছানো পর্যন্ত যে সময় ব্যয় হবে তারপর থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটস্থ আদালতে আসামিকে হাজির করতে হবে। এরপর যদি কাউকে থানা হেফাজতে রাখা হয় সেটা বেআইনি আটক হিসেবে গণ্য হবে। ভিকটিমের পরিবার চাইলে পুলিশের বিরুদ্ধেই আইনানুগ প্রতিকার চেয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবে।’

এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘থানা হেফাজতে আসামিদের নির্যাতন, বেআইনিভাবে আটকে রাখা নিয়ে আমরা নানা সময়ে আপত্তি জানিয়ে আসছি। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারও জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশনে এ সংক্রান্ত একটি সনদে স্বাক্ষর করেছে। যারা জনগণের আইনের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্বে তারা কেন বারবার আইন ভঙ্গ করছে সেটাই ভাবার বিষয়। আমরা সুশাসনের বিষয়য়ে বারবার সরকারকে সর্তক করে নানা প্রতিবেদন তুলে ধরছি। সরকার তো সেটা বরাবরই অস্বীকার করছে। এসব অনিয়ম থেকে বের হওয়ার জন্য সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে। না হয় দেশে সত্যিকার অর্থেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে না।’

এক্ষেত্রে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্য নয়, গুটিকয়েক যেসব সদস্য বেআইনি কাজ করে তাদের আইনের আওতায় আনলে এর সমাধান হবে বলেও মন্তব্য করেন ইফতেখারুজ্জামান।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!