এবার স্মার্ট প্রিপেইড মিটার পাবেন চট্টগ্রাম নগরসহ তিন উপজেলার গ্রাহক, সারা দেশে ১০ লাখ

চট্টগ্রাম নগরী ছাড়াও তিন উপজেলার গ্রাহকরা এবার আসছেন বিদ্যুতের স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের আওতায়। পাশাপাশি স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার যাচ্ছে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির সদর উপজেলাগুলোতে। এছাড়া এই স্মার্ট মিটারের আওতায় আসছে কুমিল্লা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলা।

সবমিলিয়ে বিদ্যুতের স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের আওতায় আসছেন মোট ১০ লাখ ২০ হাজার গ্রাহক। এজন্য ‘স্মার্ট প্রি পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ইন ডিস্ট্রিবিউশন জোনস অফ বিপিডিবি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব গেছে পরিকল্পনা কমিশনে। এতে মোট ১০ লাখ ২০ হাজার সিঙ্গেল ফেজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন, ৩০ হাজার থ্রি-ফেজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১৯ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে ১৬৯ কোটি ৬৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। এশীয় উন্নয়ন উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ সহায়তা থেকে নেওয়া হবে ৩২৮ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে নেওয়া হবে ১২০ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকা ছাড়াও যে তিন উপজেলার গ্রাহকরা এবার আসছেন বিদ্যুতের স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের আওতায়, সেগুলো হচ্ছে সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী ও পটিয়া উপজেলা। এর পাশাপাশি থাকছে কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর উপজেলা,বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর উপজেলা, রাঙামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা এবং খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা।

প্রস্তাব অনুযায়ী এছাড়া স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার পাবে কুমিল্লা জেলার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, সিলেট সিটি করপোরেশন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, ফেনী সদর উপজেলা, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলা এবং কিশোরগঞ্জ জেলার কিশোরগঞ্জ সদর, বাজিতপুর এবং ভৈরব উপজেলার গ্রাহকরা।

অনুমোদন পেলে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো)।

পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিদ্যমান পোস্টপেইড মিটারিং সিস্টেমে যথাসময়ে বিল পরিশোধ না করায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ মিটারিং পদ্ধতিতে সিস্টেম লস তুলনামূলকভাবে বেশি। এছাড়া, বর্তমান পদ্ধতিতে অনুমোদিত লোডের চেয়ে বাড়তি লোড ব্যবহার এবং মিটার টেম্পারিং রোধের সুযোগ নেই।

এতে বলা হয়, স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার ব্যবহারের মাধ্যমে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সিস্টেম লস কমানো যাবে, অন্যদিকে যথাসময়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের মাধ্যমে শতভাগ রাজস্ব আদায়ও সহজতর হবে। আবার গ্রাহকের অনুকূলে বরাদ্দ করা লোডের অতিরিক্ত লোড ব্যবহার করা হলে মিটার টেম্পারিং সংকেত দেওয়ার মাধ্যমে লোড বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া সম্ভব হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চারটি বিতরণ জোন চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও সিলেটের আওতাধীন ২৫টি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সব গ্রাহককে স্মার্ট প্রি-প্রেমেন্ট মিটার ব্যবহারের আওতায় আনা যাবে।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!