চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এবার এক ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সেই ছাত্রলীগকর্মী মুজাহিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ব্যবসায়ীর নাম মো. রাশেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। অন্যদিকে মারধরকারী মুজাহিদ চৌধুরী সংস্কৃত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়ের কর্মী। তার বাবা চাকসুর ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন ছিলেন জামায়াতের থানা আমির।
মারধরের শিকার মো. রাশেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসে টুকটাক ডিলারশিপের ব্যবসা করি৷ সন্ধ্যায় আমি আমার ছেলেসহ সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে মাল গোছাচ্ছিলাম। হঠাৎ মুজাহিদ এসে বলে আমি নাকি তার মোবাইল ছিনতাই করছি। মোবাইল ফেরত দিতাম। এ কথা বলেই সে আমাকে মারধর করা শুরু করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুজাহিদদের সাথে আমাদের পারিবারিক একটা ঝামেলা ছিল। সে এর আগে আমার দুই ভাইকেও মারধর করেছে। আমি বিষয়টি প্রক্টরকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।’
এ দিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে মুজাহিদ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মারধরের কোন ঘটনাই ঘটেনি। রাশেদ আমার একটা মোবাইল ছিনতাই করেছে। আজ তার সাথে দেখা হওয়ায় আমি মোবাইলের বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। উল্টো সে আমাকে মারধর করতে উদ্যত হয়। এ ঘটনা আমি প্রক্টর স্যারকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।’
প্রসঙ্গত, মুজাহিদ এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রক্টর অফিসে পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে আন্দোলনকারীদের আলোচনা চলাকালে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও ইঞ্জিনিয়ারকে মারধরের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এমআইটি/সিপি